রামমন্দির উদ্বোধন: ৭ হাজার অতিথিকে আমন্ত্রণ, বিরোধীদের বর্জন
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২০ PM , আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২০ PM

শহরজুড়ে জাফরান পতাকা। নানান রঙের ফুলের বাহার। রঙিন বাতির আলোকসজ্জায় সেজেছে রাস্তাঘাট, দালান-কোঠা-অফিস। ছোট ছোট গাড়িতেও একই সাজসজ্জা। গান-বাজনা, খাওয়া-দাওয়া, হই-হুল্লোড়ের পাশাপাশি কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। মহা ধুমধামে মহা আয়োজন চলছে ভারতে। জমজমাট হয়ে উঠেছে দেশটির উত্তর প্রদেশের শহর অযোধ্যা। কেননা, প্রায় ৩ বছরের নির্মাণকাজ শেষে আজ উদ্বোধন হচ্ছে বহুল প্রতিক্ষিত রাম মন্দিরের। বেশ ঘটা করেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ মহোৎসব চলবে।
স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ১২.১৫ থেকে ১২.৪৫ মধ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময়সূচি নির্ধারিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতেই শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান। বিরাট এই কর্মযজ্ঞের মধ্যমণি তিনিই। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৮,০০০ অতিথি আয়োজনে অংশ নেবেন। এছাড়াও ৫০৬ জনের আমন্ত্রিত তালিকায় রাজনীতিবিদ, শীর্ষস্থানীয় অতিথি, তারকা, কূটনীতিবিদ, বিচারক, মহাযাজকও উপস্থিত থাকবেন। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আলজাজিরা, দ্য হিন্দু, সিএএনএন।
রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার চাঁদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে ড্রোন, স্নাইপার এবং বোমা ডিস্পোজাল ইউনিটকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খবর এনডিটিভি
রাম মন্দিরে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রামমন্দির প্রতিষ্ঠা তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকারের অন্যতম রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এ প্রতিশ্রুতি পূরণ এ বছর অনুষ্ঠেয় লোকসভা নির্বাচনের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশের লখনউ জোনের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) পীযূষ মোর্দিয়া বলেন, সরযূ নদীতে নৌকার মাধ্যমে টহল দেওয়া হচ্ছে। রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত সাত হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এছাড়া এ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও লোকসভার বিরোধী নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে এ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, মোগল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাঁকি ১৫২৮ সালে অযোধ্যায় মসজিদ তৈরি করেন, যা পরবর্তী সময়ে বাবরি মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। তবে হিন্দুদের দাবি, রাম জন্মভূমিতে ‘রামের মন্দির ভেঙে’ মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে।
পরবর্তীতে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর করসেবকদের হামলায় মসজিদটি ধ্বংস হয়। এরপর ২০১৯ সালের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট বিতর্কিত জমির মালিকানার রায় মন্দিরের পক্ষে দেন। সেখানেই গড়ে তোলা হয় রামমন্দির।