ফিলিস্তিনি ত্রাণ সংস্থার জন্য অর্থায়ন বন্ধ করল যেসব দেশ

ফিলিস্তিন
  © ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থায় (ইউএনআরডব্লিউএ) তহবিল দেওয়া বন্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি ও কানাডা।

বিবিসি জানায়, গতবছর ৭ অক্টোবরে দক্ষিণ ইসরায়েলে ঢুকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইউএনআরডব্লিউএ- তাদের কয়েকজন স্টাফকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দেওয়ার পর পশ্চিমা দেশগুলো এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের এই ত্রাণ সংস্থাটি গত শুক্রবার তাদের কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে হামাসের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পরই প্রথম এই সংস্থায় অর্থায়ন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এরপর বাকি দেশগুলোও একই পথে হাঁটল।

ইউএনআরডব্লিউএ- বলছে, তারা ইসরায়েলের দেওয়া তথ্য তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব এমন খবরে হতবাক হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রদপ্তরও এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইউএনআরডব্লিউএ স্টাফদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ শুনে যুক্তরাজ্য বিষ্মিত হয়েছে। হামাসের ওই হামলাকে জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা হিসাবে বরাবরই নিন্দা জানিয়ে এসেছে যুক্তরাজ্য সরকার।

“যুক্তরাজ্য উদ্বেগজনক এইসব অভিযোগ পর্যালোচনা করে দেখছে। তাই এ সময়টিতে আপাতত ইউএনআরডব্লিউএ-তে কোনও তহবিল সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে।”

ওদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) বলেছে, তারা পূর্ণ তদন্তের ফলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ ল্যাজারিনি বলছেন, অভিযোগের পূর্ণ তদন্ত চালানো হচ্ছে এবং কোনও স্টাফ হামাসের হামলায় জড়িত থেকে ধরা পড়লে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছেন, তার দেশ ইউএনআরডব্লিউএ এর সঙ্গে তদন্তে ঘনিষ্ঠভাবে নিয়োজিত থাকবে। আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ চলছে বলে জানিয়েছেন ওং। তবে তিনি এও বলেন যে, অস্ট্রেলিয়া গাজার মানুষদের সমর্থন করে যাওয়ার পাশাপাশি মানবিক সহায়তাও দিয়ে যাবে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে তিনি গাজায় ইউএনআরডব্লিউএ- এর কার্যক্রম বন্ধ করার চেষ্টায় আছেন। এ বিষয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ এবং অন্যান্য প্রধান দাতা দেশগুলোর সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা নেবেন।

তবে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের বেসামরিক নাগরিক বিষয়ক মন্ত্রী হুসেইন আল-শেখ বলেছেন, জাতিসংঘের এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাটিতে কিছু দেশের অর্থায়ন স্থগিতের সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক এবং মানবিক ত্রাণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি হবে।

তিনি পশ্চিমা দাতা দেশগুলোকে অবিলম্বে তাদের এ সিদ্ধান্ত বদলানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই আন্তর্জাতিক সংস্থায় আমাদের সর্বোচ্চ সমর্থন প্রয়োজন।”


মন্তব্য