গাজায় গণহত্যা: বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা

গাজা
  © সংগৃহীত

গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলের চালানো গণহত্যার সাথে বাইডেন প্রশাসন জড়িত উল্লেখ করে আমেরিকায় মামলা করেছে সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস। এ মামলায় শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালত।

টাইম ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এছাড়া দ্য ইন্টারসেপ্ট ও আল জাজিরার প্রতিবেদনেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।

অক্টোবরে হামাসের হামলার পর থেকে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ গাজায় নেতানিয়াহু প্রশাসনের ধ্বংসযজ্ঞকে ‘অন্ধ সমর্থন’ জানিয়ে আসছে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্ব।

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে বলে সাফাই গাইছে বাইডেন প্রশাসন। ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনকে আরও পাকাপোক্ত করতে সরবরাহ করেছে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও কূটনৈতিক সহায়তা।

আমেরিকার অন্ধ সমর্থন আর ইসরায়েলের বেপরোয়া হামলায় গাজায় মানবতা যখন বিপর্যস্ত, তখন মানবাধিকার সংস্থা ডিফেন্স ফর চিলড্রেনের পক্ষ থেকে বাইডেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস।

সিসিআরের মামলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ অভিযুক্ত করা হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে। শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার ফেডারেল আদালতে মামলার বিচারকাজ শুরু হলে বাইডেন প্রশাসন গাজায় ইসরায়েলের চালানো গণহত্যা রুখতে ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করে সিসিআর।

সিসিআরের ডেপুটি লিগ্যাল ডাইরেক্টর মারিয়া লাহুদ বলেন, ‘একজন বিচারক আমাদের যুক্তিতর্ক অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছে। আমরা এখানে আমেরিকার সহায়তায় গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মামলা নিয়ে এসেছি। গোটা বিশ্ব এ গণহত্যা বন্ধের দাবি জানাচ্ছে। আমরা আশা করছি বিচারকরা সঠিক কাজটি করবেন।  

এসময় বাইডেন প্রশাসনের আইনজীবী বলেন, এ বিষয়ে আদালতের রায় দেওয়ার এখতিয়ার নেই। ইসরায়েলকে সমর্থন করা রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মতবাদ বলে অভিহিত করেন তিনি।

এদিকে জরুরি ভিত্তিতে গাজায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ প্রবেশ ও গণহত্যা বন্ধ করে বেসামরিকদের নিরাপত্তার জন্য অবিলম্বে ইসরায়েলকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত।