হার্ট অ্যাটাক: মৃত্যুর আগে ব্রেক থামিয়ে ৬৫ যাত্রীর প্রাণ বাঁচালেন চালক!
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:২৬ PM , আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:২৬ PM

প্রতিদিনের মতো বাস চালাচ্ছিলেন এক চালক। চালাতে চালাতে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। এতে ওই চালকের মৃত্যুও হয়। তবে অন্তীম যাত্রার আগমুহূর্তেই বাস থামিয়ে প্রাণ বাঁচালেন ৬০ জন যাত্রীর।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশার বালাসোর জেলায়। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে ৬৫ জন যাত্রীর কথা বলা হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে কমপক্ষে ৬৫ জন পর্যটক নিয়ে ওড়িশার বালেশ্বরে যাচ্ছিল একটি যাত্রীবাহী বাস। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই ঘটে গেল বিপত্তি। কারণ বাস চালক হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় যাত্রীরা বিপাকে পড়ে যান। কারণ বাসটি সজোরে কোথাও ধাক্কা মারতে পারত। সেটা ঘটেনি ঠিকই। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন যাত্রীরা। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছতে না পেরে মাঝপথে আটকে পড়েন তাঁরা। বাস চালক ওড়িশার বালেশ্বরের একটি মন্দিরে নিয়ে যাওয়ার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই চালকের নাম শেখ আখতার। মঙ্গলবার সকালে ওড়িশার পঞ্চলিঙ্গেশ্বর মন্দিরের উদ্দেশে পশ্চিমবঙ্গ থেকে রওনা হয়েছিল বাসটি। বালাসোর জেলায় পৌঁছানোর পর হঠাৎই বুকে ব্যাথা অনুভব করেন আখতার এবং রাস্তার ধারে বাসটি নিয়ে তা থামিয়ে দেন। যাত্রী এবং বাসের অন্যান্য কর্মচারীরা তাৎক্ষণিকভাবে চালকের আসনে গিয়ে দেখেন, অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন তিনি।
গাড়ির একজন যাত্রী অমিত দাস ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে বলেন, ‘হঠাৎ করে বাসটি থামার পর আমরা চালকের আসনের সামনে গিয়ে দেখি তিনি (আখতার) সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে আছেন। দ্রুত তাকে সেখান থেকে স্থানীয় নীলগিরি উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তারা জানিয়েছেন, আক্রান্ত হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা গিয়েছিলেন তিনি।’
অসাধারণ এই দায়িত্বশীল আচরণের জন্য বাসের যাত্রী, পুলিশ এবং স্থানীয় লোকজন ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শেখ আখতারের।