এবার গাজার রাফাহ অঞ্চলে হামলা চালাতে যাচ্ছে ইসরায়েল

গাজা
  © আনাদোলু এজেন্সি

গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় ব্যাপক হামলা ও ধংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। প্রথমে গাজার উত্তরে অভিযান শুরু করলেও পর্যায়ক্রমে তা দক্ষিণ দিকেও শুরু হয়। এতে উত্তর থেকে পালিয়ে আসা গাজাবাসীর নিরাপদ জায়গা বলে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। এবার উপত্যকার মিসর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং অঞ্চলে স্থল অভিযানের ইঙ্গিত মিলেছে। ফিলাডেলফি করিডোর হিসেবে পরিচিত এ বাফার জোনে ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযান শুরু করলে মিসরে ফিলিস্তিনি শরণার্থীর ঢল দেখা দিতে পারে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওভ গ্যালান্ট বলেন, ‘খান ইউনিসে আমাদের অভিযান সফলভাবে শেষ হতে চলছে। এখন আমরা রাফাহর দিকে যাব। সেখানে শত্রুদের শেষ করতে হবে।’ 

এদিন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর রেডিওতেও প্রায় একই ধরনের একটি খবর প্রচার করা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ফিলাডেলফি করিডোরে অভিযান চালাতে মিসরের সঙ্গে ইসরায়েলের কথা হয়েছে। সেখানে শিগগির অভিযান শুরু করবে ইসরায়েলি সেনারা। 

এর আগে গেল ২৯ জানুয়ারি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, ফিলাডেলফি করিডোরে অভিযান নিয়ে আলোচনা করতে মিসরে গেছেন ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের পরিচালক রোনেন ব্যার। তিনি মিসরের গোয়েন্দা সংস্থা প্রধান আব্বাস কামেলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

এ বিষয়ে মিসর সরকার এখনো প্রকাশ্যে কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে ইসরায়েলি রেডিওর দাবির বিরোধীতা করে প্রতিবেদন করেছে মিসরের সংবাদ সংস্থা দ্য আল-কাহিরা নিউজ। আল-কাহিরা নিউজকে মিসরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এ ধরনের কোনো চুক্তি হয়নি। হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই। কারণ এটি মিসরের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ইসরায়েল ফিলাডেলফি করিডোর ফের দখলে নিতে চাইলে দুই দেশের সম্পর্ক হুমকিতে পড়তে পারে। 

প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে চালানো ইসরায়েলি তাণ্ডবে ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৭ হাজার। এছাড়া আহত হয়েছেন ৬৬ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি।
 
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ