জাপানে আশঙ্কাজনক হারে কমেছে বিয়ে ও শিশু জন্মের হার
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৪৯ PM , আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৪৯ PM

৯০ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে সবচেয়ে কম বিয়ে হয়েছে জাপানে। এমনকি, দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম শিশুর জন্মও হয়েছে গত বছর। বিয়ে কম হওয়ায় সামনের বছরগুলোতে আরও কমতে পারে জন্মহার। সরকারি এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এই তথ্য। এমন পরিস্থিতিতে নাগরিকদের সন্তান জন্ম দেয়ায় উৎসাহিত করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির সরকার। এক প্রতিবেদনে জাপানের সংবাদ মাধ্যম নিক্কেই এশিয়া এ তথ্য জানায়।
টানা আট বছর ধরে শিশু জন্মহার কমছে জাপানে। এর মধ্যে গত বছর সবচেয়ে হ্রাস পেয়েছে। সেইসঙ্গে ৯০ বছরের মধ্যে প্রথমবার বিয়ের সংখ্যা পাঁচ লাখের নিচে নেমেছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটির সরকারি নথিপত্রে এসব তথ্য-উপাত্ত প্রকাশিত হয়।
জাপান সরকারের নথিতে দেখা যায়, ২০২৩ সালে দেশটিতে ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩১ শিশুর জন্ম হয়েছে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে শিশুর জন্মহার ৫.১ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে যা রেকর্ড। ২০২৩ সালে জাপানে বিয়েছে হয়েছে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ২৮১টি। শতকরা হিসাবে বিয়ে কমেছে ৫.৯ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে জাপানে জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সরকার জন্মহার হ্রাস মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ব্যক্ত করেছেন।
জাপানের নাগরিকদের দাবি, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণেই সন্তান নিতে আগ্রহী নন তারা। কাজের পাশাপাশি, সন্তান লালন-পালন করাও বেশ কঠিন।
ক্রমেই ঘনিয়ে আসা এই সংকট থেকে উত্তরণে নানা পদক্ষেপে উদ্যোগ নিয়েছে জাপান। সন্তান লালন-পালনে প্রণোদনা দেয়াসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা ভাবছে সরকার।
জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদের সচিব ইয়োশিমাশা হায়াশি বলেছেন, জন্মসংখ্যায় বিশাল বিচ্যুতি দেখছে জাপান। আগামী বছরগুলোতে আরও প্রকট হবে এটি। কমে যাবে তরুণদের সংখ্যা। জন্মসংখ্যা কমে যাওয়া রোধে, ৩টি বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে। তরুণদের আয় বাড়ানো, সামাজিক সচেতনতার ধরন বদলানোসহ যেসব পরিবারে শিশু আছে, তাদের সহায়তা দেবে সরকার।
গত কয়েক দশক ধরে, নিম্নমুখী জন্মহারের কারণে ২০৩০ সালের পর, উল্লেখযোগ্য হারে তরুণ-তরুণীর সংখ্যা কমবে জাপানে। এই ছয় বছরের মধ্যে নবজাতকের সংখ্যা বাড়ানো না গেলে ভবিষ্যতে আরও খারাপ হবে পরিস্থিতি।