ফিলিস্তিনিদের জন্য বিমান থেকে ত্রাণ ফেলছে জর্ডান; পর্যবেক্ষণ করছেন বাদশাহ

জর্ডান
  © সংগৃহীত

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংস, বর্বর ও অমানবিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের নৃশংস এই হামলায় এখন পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ২৯ হাজার ৯৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। শুধু হামলা করেই খ্যান্ত হচ্ছে না দখলদার দেশটি। গাজায় যাতে দুর্ভিক্ষ হয়, তার সব ধরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী। এমতবস্থায় বিধ্বস্ত গাজায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলে অভুক্ত ফিলিস্তিনিদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে প্রতিবেশি দেশ জর্ডান।

বিধ্বস্ত গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিজে উপস্থিত থেকে তদারকি করেন সহায়তা কর্মসূচিতে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জর্ডান টাইমস। এছাড়া টাইমস অব ইসরায়েল, নিউ ইয়র্ক টাইমস, শিনহুয়া নিউজ, আল জাজিরার প্রতিবেদনেও একই তথ্য জানানো হয়।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গাজায় সহায়তার বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন বাদশাহ। পরে বিমানে ওঠেন তিনি। সাথে থেকেই পর্যবেক্ষণ করেন কীভাবে আকাশ থেকে ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে উপত্যকায়। গাজার ২০ লাখ মানুষের খাদ্য সংকট মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা দ্বিগুন করা দরকার বলে মন্তব্য করেন বাদশাহ আব্দুল্লাহ। ইসরায়েলকে রাজি করাতে পশ্চিমাদের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ইসরায়েলের বাধার মুখে সীমান্ত বন্ধ হওয়ায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে গাজায় ত্রাণ পাঠানো। এ পরিস্থিতিতে ভরসা একমাত্র আকাশপথ। গাজায় ত্রাণ পাঠাতে তাই বিমান আর প্যারাসুটের আশ্রয় নিয়েছে প্রতিবেশী জর্ডান। গেলো পাঁচ মাসে, এয়ার ড্রপ পদ্ধতিতে ১৭ দফা উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহ করলো জর্ডান।