ইসরায়েলকে তিরস্কার ও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান কমলা হ্যারিসের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫০ PM , আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৪, ০৪:৫০ PM

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলার শুরু থেকেই বিপুল অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়াও জাতিসংঘে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে কয়েকবার ভেটো দিয়েছে দেশটি। তবে এবার ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস। এছাড়াও তিনি গাজায় গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরাইলকে তিরস্কার করেন। খবর আল জজিরার।
গতকাল রবিবার (৩ মার্চ) কমলা হ্যারিস বলেছেন, গাজায় চরম দুর্ভোগের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত ছয় সপ্তাহের জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি বর্তমানে আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এই চুক্তি হলে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি মিলবে এবং গাজায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করবে।
এ সময় ইসরায়েলকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় আরও বেশি পরিমাণে ত্রাণসহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরায়েলকে আরও কিছু করতে হবে। এসবের মধ্যে নতুন সীমান্ত ক্রসিং খোলা এবং অপ্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ না করার প্রতিশ্রুতির বিষয় রয়েছে।
তিনি বলেন, গাজার মানুষ না খেয়ে থাকছেন। সেখানকার পরিস্থিতি অমানবিক। আমাদের সাধারণ মানবতাবোধ তাদের জন্য কাজ করতে বাধ্য করছে। ত্রাণসহায়তার প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে ইসরায়েলি সরকারকে অবশ্যই আরও কিছু করতে হবে। এখানে কোনো অজুহাত চলবে না।
গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলের হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় কমপক্ষে ৩০ হাজার ৫৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭১ হাজার ৯২০ জন আহত হয়েছে।