ট্রানজিট সুবিধা: বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ভারতীয়রা!

আন্তর্জাতিক
  © সংগৃহীত

ট্রানজিট সুবিধা পেলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাতায়াতের অংশ হিসেবে ভারতের ব্যবসায়ীদের দুই দিনের পথ কমে গিয়ে হবে মাত্র দুই ঘণ্টার। তাই দেশটির উত্তর পূর্বের দুই রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ এবং মেঘালয়ের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় দিন গুনছেন।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের শিলিগুড়ি করিডোর হয়ে মেঘালয় পৌঁছাতে সড়ক পথে সময় লাগে কম করে ৪৮ ঘণ্টা। বাংলাদেশ ট্রানজিট দিলে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলা বালুরঘাটের হিলি সীমান্ত থেকে মেঘালয়ের তুরা পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র দুই ঘণ্টা। তাই ব্যবসায়ী সমৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে দ্রুত ট্রানজিট চালুর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করেছে ভারতের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা। 

ভারতের দীর্ঘদিনের প্রস্তাবিত হিলি-তুরা করিডোর বাস্তবায়নে সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন দেশটির ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল। জয়েন্ট মুভমেন্ট কমিটি ফর করিডরের ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল চলতি সপ্তাহেই ট্রানজিট চালুর দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় বর্মার কাছে এবং নিজেদের দাবি নিয়ে দেখা করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের সঙ্গেও। 

মঙ্গলবার বাংলাদেশ থেকে ফিরে ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল জানায় ভারত সরকারের পক্ষে ইতোমধ্যেই ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, হিলি-তুরা ট্রানজিট করিডোর চালু করার বিষয়ে ভারত প্রস্তুত। ভারত অপেক্ষা করছে শুধুমাত্র বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের। 

করিডর কমিটির আহ্বায়ক ভারতীয় ব্যবসায়ী ড. নবকুমার দাস বলেন, এই ট্রানজিট করিডোর স্থাপন হলে শুধুমাত্র যে ভারতের উত্তর পূর্বে দুই রাজ্য প্রকৃতভাবে বিষয়টি থেকে উন্নত হবে ব্যাপারটা এমন নয়। উত্তরপূর্ব ভারতের অন্যান্য ল্যান্ডলক রাজ্যগুলোর পাশাপাশি দুই দেশেরই উত্তরবঙ্গের ব্যাপক উন্নতি হবে। বাংলাদেশের এক সিদ্ধান্তেই দূরের মেঘালয় হয়ে উঠবে কাছের প্রতিবেশী।

করিডর কমিটির বাংলাদেশি প্রতিনিধি ক্রীড়াবিদ সুব্রত মজুমদার বলেন হিলি-তুরা করিডরটি বাস্তবায়িত হলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও নিবিড় হবে। সেই সঙ্গে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও কৃষি বাণিজ্য ও কর্ম সংস্থানের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটবে।

তথ্য: চ্যানেল২৪