বিএসএফের গুলিতে নিহত সেই বাংলাদেশির লাশ হস্তান্তর

বিএসএফ
  © সংগৃৃহীত

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া বাংলাদেশি যুবক লিটন পারভেজের (২২) মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৭ মার্চ) মধ্যরাতে হাতীবান্ধা উপজেলার জাওরানী সীমান্তে তার মরদেহ ফেরত দেয় ভারতীয় পুলিশ। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন। 

এর আগে গত সোমবার রাতে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী পশ্চিম বর্ডার এলাকায় ৯২৩ নম্বর পিলারে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত লিটন পারভেজ ওই এলাকার দীঘলটারী সাংকাচওড়া গ্রামের মোকছেদুল হকের ছেলে। 

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নবীকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় ভারতীয় গরু পাচার করতে দীঘলটারী পশ্চিম বর্ডার সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন গরুর কয়েকজন রাখাল। গরু নিয়ে ফেরার পথে কোচবিহার জেলার দিনহাটা কৈমারী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের ঘিরে ফেলেন। 

গরু পাচারকারীরা এলাকায় ফোন করলে লিটন পারভেজসহ ২০-২৫ জন বাংলাদেশি তাঁদের উদ্ধার করতে ভারতে প্রবেশ করেন। এ সময় গুলি ছোড়েন বিএসএফ সদস্যরা। বাকিরা পালিয়ে ফিরলেও গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে পড়ে ছিলেন লিটন পারভেজ। পরে তাঁকে নিয়ে যান বিএসএফ সদস্যরা। 

উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকাবৈঠকের পর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। একই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে বুধবার গভীর রাতে জাওরানী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও ভারতীয় পুলিশ মৃত লিটনের কফিনে মোড়ানো মরদেহ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের কাছে ফেরত দেয়।

হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মৃত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ভারতীয় পুলিশের কাছ থেকে বুঝে নিয়ে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন বলেন, বাংলাদেশি যুবক লিটনের মৃত্যুর ঘটনায় বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভারতীয় পুলিশ মরদেহ আমাদের পুলিশের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।


মন্তব্য