ইরানের হামলা: ইসরায়েলের স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

ইরান
  © সংগৃহীত

ইরান থেকে শতাধিক ড্রোন ছোড়া হয়েছে ইসরায়েলের ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে। কয়েক ঘণ্টার পথ পেরিয়ে সেগুলো আঘাত হানতে শুরু করেছে ইসরায়েলে। ইরানের নজিরবিহিন ক্ষোপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করেছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে দেশটির স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাতিল করা হয়েছে সব ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম। 

জেরুজালেম পোস্টের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সাংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের হামলার পর উচ্চ সতর্কতার অংশ হিসেবে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশপাশি ইরানি হামলা প্রতিহত করার জন্য কয়েক ডজন বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীরা আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। তাদের হামলার আশঙ্কায় আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুসংহত করেছি।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তেহরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৭ ইরানি জেনারেল নিহত হয়। ওই ঘটনার জেরে ইসরায়েলে পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি দেয় ইরান। এরপর আজ রোববার ভোরে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল পারস্য অঞ্চলের এ দেশটি।

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানিয়েছে, ‘ট্রু প্রোমিজ’ নামে অভিযানের আওতায় এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বলেছে, তেহরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রথম দফা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েলের একেবারে ভেতরের লক্ষ্যবস্তু নিশানা করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ইরানের এ হামলার পর লেবানন, জর্ডান ও ইরাক তাদের আকাশ পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলও সামরিক উড়োজাহাজ বাদে বাকি সব উড়োজাহাজের জন্য তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।

এদিকে এ হামলার জবাব দিতে ইসরায়েল প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ রোববার সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। অন্যদিকে হোয়াটি হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে আজ সন্ধ্যায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ইতিমধ্যে ইরানের হামলা নিয়ে তাঁর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেছেন।


মন্তব্য