ইইউ নৌবাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় দুবাইয়ের পথে এমভি আব্দুল্লাহ ও ২৩ নাবিক
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৪ PM , আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৪ PM
দীর্ঘ ৩১ দিন পর সোমালি জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত হয় এমভি আব্দুল্লাহ ও এর ২৩ বাংলাদেশি নাবিক। এরপর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দুবাইয়ের পথে রয়েছে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকেরা। জাহাজটিতে রাখা হয়েছে কড়া পাহারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নৌবাহিনীর জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে দিচ্ছে বিশেষ নিরাপত্তা।
আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) প্রকাশিত এক আপডেট প্রতিবেদনে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম জানায়, এই নিরাপত্তার মধ্যেই আগামী ২২ এপ্রিল (সোমবার) দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছাবে জাহাজটি।
সোমবারের আপডেটে বেশকিছু ছবি প্রকাশ করেছে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম। ছবিতে দেখা যায়, কাটাতার দিয়ে বানানো হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এতে আবারও যাতে কোনো জলদস্যু উঠতে না পারে, সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত থাকছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর জাহাজ। আবারও জলদস্যুরা হানা দিলে প্রতিহত করার সব প্রস্তুতি রয়েছে জাহাজে।
মুক্তির খবরে নাবিকদের পরিবারে ফিরল ঈদের আনন্দ মুক্তির খবরে নাবিকদের পরিবারে ফিরল ঈদের আনন্দ
জাহাজে থাকা ক্রুরা সবার মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন বলে জানানো হয়। এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম জানায়, নাবিকদের জন্য জাহাজে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কয়লাবোঝাই এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। এ সময় জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককেও জিম্মি করা হয়। নাবিকদের উদ্ধারে নানা চেষ্টা করা হয়। চলে কূটনৈতিক তৎপরতাও। কিন্তু অগ্রগতি আসতে সময় লাগছিল।
জাহাজটির জিম্মি নাবিকদের ঈদও কাটে বন্দী দশায়। তবে তাঁদের ঈদের দিন ভালো খাবার দেওয়া হয় বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল।
শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। রোববার দুপুরে মুক্তির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় চট্টগ্রামের এস আর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিমের কাছে একটি বার্তা আসে এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের কাছ থেকে। বার্তায় বলা হয়, জিম্মি জাহাজ মুক্ত হয়েছে। নাবিকরা দুবাইয়ের পথে রওনা হয়েছে।
জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করতে কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে বা মুক্তিপণ আদৌ দিতে হয়েছে কিনা তা নিয়ে মুখ খোলেনি জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ। তবে, এমভি আব্দুল্লাহ ও ২৩ নাবিককে ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলার মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।