সন্ধান মিললো সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ ভারী কৃষ্ণগহ্বরের 

আন্তর্জাতিক
  © সংগৃহীত

ফ্রান্সের গবেষকেরা ছায়াপথের বৃহত্তম কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন। সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ ভারী এটি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বরটির নাম গাইয়া বিএইচ৩।

গাইয়া বিএইচ৩ মূলত একটি নাক্ষত্রিক কৃষ্ণগহ্বর বা স্টেলার ব্ল্যাকহোল। মূলত নক্ষত্রের জীবদ্দশা পার হলে তার পতনের ফলে এ ধরনের কৃষ্ণগহ্বরের সৃষ্টি হয়। তবে এগুলো বিশাল আকৃতির (সুপারম্যাসিভ) কৃষ্ণগহ্বরের চেয়ে বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে আলাদা।  মূলত, ইউরোপের মহাকাশ সংস্থার গাইয়া মিশনের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এটির খোঁজ পাওয়া যায়।

অবজারভেটরি দা প্যারিসের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চের (সিএনআরএস) জ্যোতির্বিদ পাসকোয়েল পানুজ্জো বলেন, কৃষগহ্বরটিকে অনেকটা আকস্মিকভাবে আবিষ্কার করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। ইউরোপের মহাকাশ সংস্থার গাইয়া মিশনের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এটির খোঁজ পাওয়া যায়।

গাইয়া মিশনটি মূলত আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথের ম্যাপ তৈরিতে কাজ করেছে। এটি এবার পৃথিবী থেকে দুই হাজার আলোকবর্ষ দূরে আকুইলা গ্রহাণুপুঞ্জে বিএইচ৩ নামের কৃষ্ণগহ্বরটিকে শনাক্ত করেছে। গাইয়ার টেলিস্কোপ মূলত আকাশে কোনো নক্ষত্রের নিখুঁত অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। এর তথ্য থেকে জ্যোতির্বিদেরা নক্ষত্রের কক্ষপথ, তাদের ভর ও অদৃশ্য সঙ্গীকে খুঁজে বের করতে পারেন।

গাইয়ার টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে কৃষ্ণগহ্বরটির অবস্থান শনাক্তের পর ভূপৃষ্ঠের টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এর অস্তিত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

এর আগে যুক্তরাজ্যের ডারহাম ইউনিভার্সিটির একদল গবেষকের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি গত মার্চে এক প্রতিবেদনে জানায়, নতুন সন্ধান পাওয়া কৃষ্ণগহ্বরটির আকার আমাদের সূর্যের চেয়ে ৩০ বিলিয়ন গুণের চেয়েও বড়। গবেষণা দলের প্রধান ড. জেমস নাইটিঙ্গ্যাল বলেন, ‘কৃষ্ণগহ্বরটির আকার এতই বড় যে তা বুঝাও আমাদের পক্ষে কঠিন। ’

যুক্তরাজ্যের রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির জার্নাল ‘মান্থলি নোটিসেস’ প্রকাশিত এক নিবন্ধে ডারহাম ইউনিভার্সিটির গবেষকদের এই কাজের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

নিবন্ধে বলা হয়, গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং পদ্ধতি ব্যবহার করে এ কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান মিলেছে এবং এই পদ্ধতিতে পরিমাপ করা প্রথম কৃষ্ণগহ্বর এটি। ধারণা করা হচ্ছে ওই কৃষ্ণগহ্বরের চেয়েও এই কৃষ্ণগহ্বর বড়ো।  


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ