ফের যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে আটকে গেলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা!

ভেটো
  © ফাইল ছবি

ফের জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত এই খসড়া প্রস্তাবে ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, 'ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দেওয়া হোক'।

দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের আহ্বানের মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভেটো দিলো আমেরিকা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, ‘আমেরিকার ভেটো ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে বিরোধীতা করে না।’ এসময় পূর্ণ সদস্য হওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর। 

এদিকে ওয়াশিংটনের ভেটোকে অনৈতিক ও অবিচার বলে নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠি হামাসও আমেরিকার ভেটোর সমালোচনা করেছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রতি সুপারিশ করে খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়েছিল।

নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২টি রাষ্ট্র প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড। অন্যদিকে ভেটো প্রদান করে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র আমেরিকা।

উল্লেখ্য, নিরাপত্তা পরিষদের কোনো প্রস্তাবে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন— এ পাঁচটি স্থায়ী সদস্যের কোনো একটি দেশ ভেটো দিলে ওই প্রস্তাব আর গৃহীত হয় না।

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ২০১২ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে কার্যত রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছিল ফিলিস্তিন। তবে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। অবশ্য সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে বারবার সেটা আটকে যায়।


মন্তব্য