মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে মোদিকে কড়া জবাব ওয়েইসির

ভারতীয়
  © ফাইল ছবি

নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেসের ইশতেহার নিয়ে আক্রমণ করতে গিয়ে মুসলিমবিদ্বেষী প্রসঙ্গ উত্থাপন করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভাষণে মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যর এবার কড়া জবাব দিয়ছেন সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) দলের প্রধান এবং হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সম্প্রতি এক জনসভায় মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্য করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। জনসভায় প্রধান বিরোধী দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসকে (আইএনসি) জড়িয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান মোদি। বলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে দেশের সম্পদ মুসলিমদের মধ্যে বণ্টন করে দেবে। হিন্দুদের পারিবারিক সোনা-রুপার সঙ্গে বিবাহিত নারীদের গলায় পরা পবিত্র মঙ্গলসূত্র পর্যন্ত তারা কেড়ে নিয়ে বাঁটোয়ারা করে দেবে।

প্রতিবেদন মতে, ওই মন্তব্যে মোদি মুসলিম শব্দটি সরাসরি উল্লেখ করেন। এছাড়াও ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও ‘যারা অনেক সন্তান জন্ম দেয়’ এমন দুটি শব্দ ও শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেন তিনি। এই দুটি শব্দ দিয়ে বিজেপির নেতারা সাধারণত মুসলিম সম্প্রদায়কে বুঝিয়ে থাকেন।
 
হায়দরাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি দাবি করেন, ভারতে মুসলিমরাই সবথেকে বেশি নিরোধক ব্যবহার করেন। ভারতে মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে না বরং তা কমছে।
 
মোদির সমালোচনা করে এআইএমআইএম প্রধান ওয়াইসি অভিযোগ করেন, ধর্মের ভিত্তিতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্বেষের দেয়াল তৈরি করছেন নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি চ্যালেঞ্জের সুরে ওয়াইসি দাবি করেন, দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির নেপথ্যে মুসলিমদেব অবদানের যে ধারণা গড়ে তোলা হচ্ছে, তা মিথ্যা। এই নিয়ে তিনি মোদি সরকারেরই তথ্যকে উদ্ধৃত করেন।

বিদায়ী এই সংসদ সদস্য ও চলমান লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী ওয়াইসি বলেন, ‘কেন আপনি (নরেন্দ্র মোদি) এমন ভীতিপূর্ণ ধারণা তৈরি করছেন যে- মুসলিমরা বেশি সন্তানের জন্ম দেয়? মোদি সরকারেরই তথ্য বলছে- জন্মের হার এবং জনসংখ্যার নিরিখে মুসলিমরা পিছিয়ে আছে। মুসলিমরাই সবচেয়ে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করে। আর এটা বলার মধ্যে কোনো লজ্জা নেই।
 
মোদির সমালোচনা করে ওয়াইসি অভিযোগ করেন, দলিত এবং মুসলিমদের প্রতি অকারণে ঘৃণার সঞ্চার করছেন প্রধানমন্ত্রী। একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বলছেন- জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ হলো অনুপ্রবেশকারী। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না।


মন্তব্য