নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিরুদ্ধে আইসিসিকে মার্কিন আইনপ্রনেতাদের হুমকি

নেতানিয়াহু
  © ফাইল ছবি

গত ছয় মাসের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নির্বিচারে হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের এসব হামলায় সাড়ে ৩৪ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। ফিলিস্তিনে এই মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এদিকে নেতানিয়াহুর সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতকে হুমকি দিলেন মার্কিন আইণপ্রণেতারা।

তারা বলেছেন, যদি ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় তাহলে আদালতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয়পক্ষের মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা আইসিসির বিরুদ্ধে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেক্সাসের রিপাবলিকান হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককাউল বলেছেন, ইতোমধ্যে আইসিসি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য একটি বিলের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে আমরা আশা করছি, সেই পর্যায়ে যেন যেতে না হয়।

এদিকে, গাজা যুদ্ধ ইস্যুতে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সম্ভাব্য অভিপ্রায়ের নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার মাইক জনসন।

জনসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “এটি লজ্জাজনক যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন এবং অবৈধ’ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা করছে।”

তিনি আরও বলেন, “আইসিসির এ ধরনের ‘অনৈতিক’ পদক্ষেপ সরাসরি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বাইডেন প্রশাসন যদি এর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ না করে, তাহলে আইসিসি মার্কিন রাজনীতিক, মার্কিন কূটনীতিক এবং মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নজিরবিহীন ক্ষমতা পেয়ে যাবে এবং তা চর্চাও করতে পারে। আর এটি হলে আমাদের দেশের সার্বভৌম কর্তৃত্ব হবে।” 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চালানো ইসরায়েলি হামলায় জোর সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের পশ্চিমা মিত্ররা। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নারকীয় হত্যাযজ্ঞের মধ্যেই ইসরায়েলকে ১৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, এক্সিওস, আল জাজিরা


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ