সৌদিতে ভারী বর্ষণে বন্যা; ঝড়ে ভেঙে পড়লো বিদ্যুৎ লাইনের টাওয়ার

সৌদি
  © সংগৃহীত

সৌদি আরবে প্রবল ঝোড়ো বৃষ্টিতে হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। গত রবিবার সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হাফর আল-বাতিনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন দেখা দিয়েছে।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রচণ্ড বজ্রপাতের সঙ্গে সৃষ্ট ঝড়ের কারণে নিমেষেই স্থানীয় পরিস্থিতি বদলে যায়। বিপুল পরিমাণ ধুলো উড়তে থাকে আশপাশে। ফলে দৃষ্টিসীমাও কমে যায়। অবশ্য খানিক পরেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এই বৃষ্টি ও ঝড়ের শুরুর দিকেই বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের একটি টাওয়ার ভেঙে পড়ে। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সসহ অন্যান্য প্ল্যাটফরমে টাওয়ারটি ভেঙে পড়ার ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। ভিডিও থেকে দেখা যাচ্ছে, তীব্র ধুলোঝড়ের মাঝেই টাওয়ারটি ভেঙে পড়ছে। সৌদি আরবের বিদ্যুৎ বিভাগও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে টাওয়ারটি ভেঙে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য সৌদি ইলেকট্রিক কোম্পানি জানিয়েছে, গত রোববার সন্ধ্যায় হাফর আল-বাতিন ও এর আশপাশের এলাকায় গুরুতর আবহাওয়া পরিস্থিতি তৈরি হয়। 

সৌদি ইলেকট্রিক কোম্পানি আরও জানিয়েছে, খবর পাওয়ার পরপরই তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অবিলম্বে বিদ্যুৎ পুনঃসংযোগ করতে একটি রক্ষণাবেক্ষণ দল পাঠিয়েছে। সৌদি আরবের আবহাওয়া প্রতিবেদনগুলো বলছে, হাফর আল-বাতিনে অস্থিতিশীল আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই অঞ্চলে ঘনঘন বজ্রপাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৌদি আরবে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত একদিনে সৌদির বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাত ও ভারী বর্ষণ হয়েছে। মদিনা অঞ্চলের আল এইস এলাকায় ভারী বর্ষণে উপত্যকা তলিয়ে গেছে। 

বন্যার কারণে রাস্তাঘাটের সঙ্গে যানবাহনও ডুবে গেছে। এছাড়া অনেক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

মদিনা অঞ্চলের স্থানীয় প্রশাসন বন্যার কারণে সতর্কতা জারি করেছে। স্থানীয় জনসাধারণকে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

মদিনার মসজিদে নববীতে আসা মুসল্লিদের বৃষ্টি উপভোগ করতে দেখা গেছে।  বৃষ্টিতেই মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।

সৌদির ন্যাশনাল সেন্টার অব মেটিওরোলজি মদিনায় উচ্চ-গতির বাতাসসহ আরও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে, যা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবিত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


মন্তব্য