ইউক্রেন থেকে মার্কিন ট্যাংক ‘জব্দ’ করে দেশবাসীকে দেখাচ্ছেন পুতিন

পুতিন
  © সংগৃহীত

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালায়। এরপর শুরু হয় রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ, যা এখনো চলমান রয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার এ যুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়েছে পশ্চিমারা। তবে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে একের পর এক মুখ থুবড়ে পড়ছে পশ্চিমা অস্ত্র। দেশটিকে একের পর এক যুদ্ধাস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে আমেরিকাসহ তার পশ্চিমা মিত্র। ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়া এসব অস্ত্র জব্দ করার পর তা দেশবাসীকে দেখাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

বুধবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে জব্দ করা বেশ কয়েকটি পশ্চিমা ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যান নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে মস্কো। এ প্রদর্শনীতে একটি ইউএস-নির্মিত এম-১ আব্রামস ট্যাঙ্কও রয়েছে, যা অবদিভকার ডনবাস শহরের কাছাকাছি এলাকা থেকে জব্দ করা হয়েছিল। বুধবার ভিক্টরি মিউজিয়ামের কাছে এ প্রদর্শনটি শুরু করা হয়েছে। যা মাসজুড়ে চলবে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রদর্শনীতে একটি মার্কিন তৈরি আব্রামস ট্যাঙ্ক এবং এম১১৫০ অ্যাসল্ট ব্রেচার ভেহিকেলও রয়েছে। এটি মাইন ক্লিয়ারিং অপারেশনের সর্বশেষ ভার্সন হিসেবে পরিচিত।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ান সৈন্যরা এ দুটি ট্যাংক অবদিভকার ডনবাস শহরের অদূরে বেরদিয়েচি বসতির কাছ থেকে জব্দ করেছিল। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে মন্ত্রণালয় ভিডিও শেয়ার করে। সেখানে ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এগুলোকে হামলা চালাতে দেখা যায়।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রদর্শনীতে আরও ৩২টি সামরিক যান রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো একটি জার্মান-নির্মিত লেপার্ড টুএসিক্স ট্যাঙ্ক এবং আইএফভি, মার্কিন ব্র্যাডলি আইএফভি, ব্রিটিশ এটি১০৫ স্যাক্সন এবং হুসকি টিএসভিসহ বিভিন্ন সামরিক যান।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, প্রদর্শনীতে ন্যাটোর তৈরি অনেক ধরনের ছোট অস্ত্র এবং প্রকৌশল সরঞ্জাম এবং ইউক্রেনের ড্রোন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। প্রদর্শনীটি বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এ প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীরা পশ্চিমাদের তৈরি বিভিন্ন অস্ত্রের বৈশিষ্ট্য এবং সেইসঙ্গে নির্দিষ্ট সরঞ্জামগুলো কীভাবে জব্দ করা হয়েছে তাও জানতে পারবেন।

এর অগে গত মাসে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, মস্কোর সেনারা ক্রমাগত ইউক্রেনীয় সেনাদের পেছনে ঠেলে দিচ্ছে। তার এমন বক্তব্যের পর এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।