প্রায় ৭০০ বছরের পুরোনো গির্জাকে মসজিদ বানালেন এরদোয়ান!

তুরস্ক
  © ডেইলি মেইল

এর আগে ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তরিত করে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এবার প্রায় ৭০০ বছরের পুুরোনো একটি অর্থোডক্স গির্জাকে মসজিদে রূপান্তরিত করে মুসলিমদের জন্য খুলে দিয়েছেন মুসলিম বিশ্বের এই জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট।

এর আগে ২০২০ সালে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অবস্থিত অর্থোডক্স গির্জাকে এরদোয়ানের নির্দেশে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। এই নির্দেশের চার বছর পর এবার মুসলিমদের জন্য এই কারিয়া মসজিদ খুলে দিয়েছেন এরদোয়ান।

সোমবার (৬ মে) গির্জাকে মসজিদে রূপান্তরিত করে মুসলিমদের জন্য খুলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম এপি।

রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ান স্থানীয় সময় সোমবার মুসলিমদের উপাসনার জন্য কারিয়া মসজিদ খুলে দেন। 

চার বছর আগে যখন স্থাপনাটিকে গির্জা থেকে মসজিদে রূপান্তরের আদেশ দেওয়া হয়, তখন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল প্রতিবেশী দেশ গ্রিস।

২০২০ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক সুরক্ষিত হায়া সোফিয়া-সম্পর্কিত এ ধরনেরই একটি রায় দিয়েছিলেন তুরস্কের আদালত। সেই রায়ের এক মাস পর একটি বাইজেন্টাইন গির্জাকে মসজিদে রূপান্তরিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন এরদোয়ান। গির্জাটি প্রথমে মসজিদ এবং তারপর জাদুঘরেও রূপান্তরিত করা হয়েছিল। তারপর ভবনটিকে স্থায়ীভাবে মসজিদে রূপান্তরের নির্দেশ দেন এরদোয়ান।

বাইজেন্টাইন গির্জাটি কোরা গির্জা হিসেবেও পরিচিত। ১৪শ শতকের ফ্রেস্কো সংবলিত গির্জাটি খ্রিষ্টানদের কাছেও মূল্যবান। ১৪৫৩ সালে অটোমান তুর্কিরা কনস্টান্টিনোপল জয়ের প্রায় অর্ধশতাব্দী পর গির্জাটিকে কারিয়া মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর অটোমানদের পতন হলে তুরস্ক ধর্মনিরপেক্ষ প্রজাতন্ত্র হিসেবে গড়ে ওঠার চেষ্টা চালায়। তখন কারিয়া মসজিদ হয়ে যায় কারিয়া জাদুঘর। যুক্তরাষ্ট্রের শিল্প ইতিহাসবিদদের একটি দল মূল গির্জার মোজাইকগুলো পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করেছিলেন। ১৯৫৮ সালে এসব মোজাইক প্রদর্শনীর রাখা হয়েছিল।

সূত্র : এপি।


মন্তব্য