১৪ মে ২০২৪, ২১:১৮

গাজার ১ হাজার মানুষ তুরস্কে চিকিৎসা নিচ্ছেন

  © সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের এক হাজারের বেশি যোদ্ধা তুরস্কের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তার্কিশ প্রেসিডেন্ট তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এছাড়া ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামাসের কর্মকাণ্ডকে একটি ‘প্রতিরোধ আন্দোলন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। 

সোমবার (১৩ মে) গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কায়রিয়াকোস মিতসোতাকিসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন এরদোয়ান। ওই সময় এরদোয়ান আরও বলেন, গ্রিস হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে— যা তাকে পীড়া দেয়।

তবে পরবর্তীতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক তার্কিস কর্মকর্তা জানান, তুরস্কে মূলত ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদেরকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান হামাসের যোদ্ধা হিসেবে ভুল ভেবেছেন।

এই কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ভুল বলেছেন। তিনি বুঝিয়েছেন গাজার ১ হাজার মানুষ আমাদের এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন, হামাসের সদস্য নয়।

এরদোয়ানের পাশে দাঁড়ানো গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গাজার যুদ্ধের সব বিষয়ের সঙ্গে গ্রিস ও তুরস্ক একমত হতে পারবে না। তবে গাজায় একটি দীর্ঘকালীন যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন এ বিষয়ে গ্রিস একমত।

তুরস্ক ও গ্রিস উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। তবে একই জোটের সদস্য হলেও দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই উত্তেজনা তৈরি হয়। এসব উত্তেজনা নিরসনের জন্য আলোচনা করতে তুরস্কে গেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী।

আলোচনা শেষে তার্কিস প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো ‘সমাধান অযোগ্য সমস্যা’ নয়।

প্রসঙ্গত, গত সাত মাসের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নৃশংস গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। আর এই গণহত্যায় মদদ দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা। মুখে দুই একটা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও কার্যত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না দেশগুলো। ফলে গাজা এখন মৃত্যুপুরী ও ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।

ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭৯ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি।  

সূত্র : আল আরাবিয়া, আল জাজিরা