আল্লাহর রহমতে ইসরাইল বিলুপ্ত হয়ে যাবে: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

আন্তর্জাতিক
  © সংগৃৃহীত

হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান ইসমাইল হানিয়া এবং তার সাথে থাকা প্রতিনিধিদল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল (বুধবার) তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়। এসময় তারা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনায় ইসলামী বিপ্লব ও ইরানের সরকার ও জাতির প্রতি শোক ও সমবেদনা জানান।

বৈঠকে ইসলামী বিপ্লবের নেতাও ফিলিস্তিনি জাতিকে বিশেষ করে গাজার জনগণ এবং হানিয়ার সন্তানদের শহীদ হওয়ার ঘটনায় তাঁকে অভিনন্দন ও সমবেদনা জানান। তার পাশাপাশি হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধানের স্বজন হারানোর বেদনায় ধৈর্যের প্রশংসা করেন।

সমগ্র বিশ্বে বিস্ময় সৃষ্টিকারী গাজার জনগণের অসাধারণ প্রতিরোধের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহ খামেনী বলেন, কেউ কি কখনো ভেবেছিল যে একদিন আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান উঠবে এবং ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানো হবে!

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতেও ফিলিস্তিনের ক্ষেত্রে এমন এমন ঘটনা ঘটতে পারে যা এখন অবিশ্বাস্য মনে হবে।

ইসলামী বিপ্লবের নেতা হযরত মূসা (আ.)-এর মায়ের প্রতি আল্লাহর দেওয়া দুটি প্রতিশ্রুতি পূরণের বিষয়ে কুরআনের আয়াতের কথা উল্লেখ করে আরও বলেন, এখন ফিলিস্তিনি জনগণের ব্যাপারে আল্লাহর প্রথম প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হয়েছে। সেটা হলো, গাজার জনগণের বিজয়। সেখানে আমেরিকা, ন্যাটো, ইংল্যান্ড এবং আরও কয়েকটি দেশের সমন্বয়ে গঠিত বড় এবং শক্তিশালী একটি গ্রুপ গাজার ছোট একটি গ্রুপের কাছে পরাস্ত হয়েছে। একইভাবে দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়িত হতে পারে। সেটা হলো ইহুদিবাদী ইসরাইলের পতন। আল্লাহর রহমতে যেদিন নদী থেকে সাগর পর্যন্ত ফিলিস্তিন গঠিত হবে সেদিন ওই প্রতিশ্রুতিও বাস্তবায়িত হবে।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আরও বলেন, মোখবের, যিনি সংবিধান অনুযায়ী দেশের নির্বাহী দায়িত্বভার পেলেন, তিনি ফিলিস্তিনের ব্যাপারে ইরানের শহীদ প্রেসিডেন্ট রায়িসির নীতি-আদর্শ অভিন্ন চেতনায় অব্যাহত রাখবেন।

ওই বৈঠকে ইসমাইল হানিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ইরানি জাতি ও সরকারের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রায়সিকে একজন বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং ফিলিস্তিন ও প্রতিরোধের একজন সাহায্যকারী বলে অভিহিত করে জনাব হানিয়া বলেন, ইরানের শহীদ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানও আন্তর্জাতিক সকল সংগঠন ও সংস্থায় সবসময় ফিলিস্তিন এবং প্রতিরোধ আন্দোলনকে  সুরক্ষা করে কথা বলেছেন। এজন্য আমি তাকে বহুবার বলেছি, আপনি প্রতিরোধের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আরও বলেন, এ অঞ্চলে এখন প্রতিরোধ ফ্রন্ট এবং ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ বাহিনী সর্বোত্তম অবস্থায় রয়েছে। পক্ষান্তরে ইহুদিবাদী শত্রুরা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এটা আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহেই হয়েছে বলে হানিয়া মন্তব্য করেন।

তথ্য: পার্সটুডে