‘অশ্লীল’ বার্তা পাঠান ছাত্রীকে, শিক্ষকের সেই বার্তা গেল মায়ের অ্যাকাউন্টে 

আন্তর্জাতিক
  © সংগৃৃহীত

বেসরকারি স্কুলের এক শিক্ষক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে জোর করে বন্ধুত্ব করেন। পরে নিয়মিত পাঠাতেন ‘অশ্লীল’ বার্তা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এ সম্পর্ক গড়ে তোলেন এই শিক্ষক।

ছাত্রীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট না থাকায় তার মায়ের অ্যাকাউন্টে যেত এসব বার্তা। বিষয়টি ছাত্রীর বাবাকে জানানোর পর তিনি অভিযোগ করেন পুলিশে। পরে সঞ্জু নামের ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুরুগ্রামে। স্থানীয় গণমাধ্যম পুলিশের বরাতে বলছে, গুরুগ্রামের এক বেসরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন সঞ্জু। তার স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুত্ব করতে চান। 

ছাত্রীর বাবার দাবি, তার মেয়েকে জোর করে ইনস্টাগ্রামে বন্ধুত্ব করতে চাপ দেন সঞ্জু। কিশোরীর নিজের অ্যাকাউন্ট না থাকায় তার মায়ের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ‘ফলো’ করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। পরে ‘ফলো ব্যাক’ করতে ওই কিশোরীকে জোর করতে থাকেন তিনি।

জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামে ছাত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়ার পর ক্রমাগত তাকে ‘অশ্লীল’ বার্তা পাঠাতে থাকেন সঞ্জু। এই ঘটনা কিশোরী তার বাবাকে জানালে সঞ্জুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীর বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সঞ্জুকে গ্রেফতার করে গুরুগ্রাম পুলিশ।

তথ্য: এনডিটিভি