গাজায় আরও ৭মাস হামলা চালাবে ইসরায়েল

গাজা
  © ফাইল ছবি

গত ৭ মাসের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের বর্বর এসব হামলায় ৩৬ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। সর্বশেষ গত রবিবার ফিলিস্তিনের সীমান্তবর্তী জনবহুল শহর রাফায় হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। এ হামলায় দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে শরণার্থী শিবির। ইসরায়েলের এই বর্বরতা দেখে আমেরিকার কোন ভাবান্তর না হলেও কেঁপে ওঠে পুরো বিশ্ব। আন্তর্জাতিক আদালতের রায়কে তোয়াক্কা না করেই এই হামলা চালায় দখলদার দেশটি।

তবে আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও কাউকেই তোয়াক্কা না করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল প্রধান জানিয়েছেন, হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্য অর্জনে আরও অন্তত সাত মাস যুদ্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে।

আজ বুধবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন।

ইসরায়েলি রেডিও স্টেশন রেশেত বেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাচি হানেগবি বলেন, 'যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কাছে পরিকল্পনা জমা দেওয়ার প্রথম দিনই খোলামেলা ভাবে জানানো হয়েছিল যে এই সংঘাত অবসান হতে দীর্ঘ সময় লাগবে।'

'এই পরিকল্পনার কয়েকটি ধাপ রয়েছে। ২০২৪ সালকে সংঘাতের বছর হিসেবে ধরা হয়েছে। আমরা এখন ২০২৪ এর পঞ্চম মাসে আছি। যার অর্থ, আমরা আশা করছি লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে একে অর্জন করতে আরও সাত মাস যুদ্ধ করতে হবে। তবেই আমরা হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সামরিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে পারব', যোগ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'আপনাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং সংঘাতের মুখেও শক্ত থাকতে হবে। এই মানসিকতার কারণেই জাতি হিসেবে আমরা ৭৫ বছর ধরে ধরে টিকে আছি, এবং এর আরও তিন হাজার বছর আগে থেকেই আমরা আছি। যুদ্ধ কখন শেষ হবে, সেই অপেক্ষায় স্টপওয়াচ চালু করবেন না, এটাই আমার অনুরোধ।'

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ১৭০ জন নিহত হন। হামাসের হাতে জিম্মি হন ২৫২ জন। জিম্মিদের মধ্যে ১২১ জন এখনো গাজায় আছেন এবং ৩৭ জন ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন।

এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৭ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৬ হাজার ১৭১ জন। এদের মধ্যে ১০ হাজারের অধিক নারী ও ১৭ হাজারের অধিক শিশু রয়েছেন।
সূত্র: সিএনএন, আল জাজিরা