ফিলিস্তিনিদের দিকে তাক করা ক্ষেপণাস্ত্রে নিকি লিখলেন, 'তাদের শেষ করে দাও, ভালোবাসি ইসরায়েল'

নিকি হ্যালি
  © সংগৃহীত

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী নিকি হ্যালি সম্প্রতি ইসরায়েল সফরে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে মঙ্গলবার (২৮ মে) দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে রাখা কিছু ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে একটির গায়ে নিজের নাম স্বাক্ষর করেছেন। এর আগে ওই ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে তিনি একটি বার্তাও লিখে দেন। বার্তাটি হলো—‘তাদের শেষ করে দাও। ইসরায়েলকে ভালোবাসে আমেরিকা।’ 

ইসরায়েলি সংসদের ডানপন্থী সদস্য ডেনি ড্যাননের আমন্ত্রণে দেশটিতে সফর করেন নিকি হ্যালি। ক্ষেপণাস্ত্রের গায়ে নিকি হ্যালির বার্তা সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ড্যানন লিখেছেন, ‘তাদের শেষ করে দাও—উত্তর সীমান্তের আর্টিলারি পোস্ট পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রের গায়ে আজ এটাই লিখেছেন আমার বন্ধু ও জাতিসংঘের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি।’ 

ক্ষেপণাস্ত্রের গায়ে স্বাক্ষরের ছবিসহ নিকি হ্যালি নিজেও একটি পোস্ট করেছেন এক্সে। এতে নিকি জানান, যে ক্ষেপণাস্ত্রের গায়ে তিনি স্বাক্ষর করেছেন, সেটি হামাস যোদ্ধাদের প্রতি নিক্ষেপ করার জন্য রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে আমিরাতভিত্তিক দ্য ন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিকি হ্যালির ছবি ও বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এই বিষয়টির সমালোচনা করে পোস্ট দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলের বামপন্থী গ্রুপ ‘স্ট্যান্ডিং টুগেদার’-এর প্রতিষ্ঠাতা অ্যালোন লি গ্রিন এক্সে লিখেছেন, ‘বিরক্তিকর।’ 

এদিকে ইসরায়েল সফরের আরও কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন নিকি হ্যালি। এসব ছবিতে দেখা যায়—গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের যে এলাকায় হামাস হামলা চালিয়েছিল সেই এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন তিনি। ওই হামলায় বেঁচে যাওয়া কিছু মানুষের সঙ্গেও তিনি সাক্ষাৎ করেছেন। 

নিকি হ্যালি এমন একসময়ে ইসরায়েল সফর করেছেন, যখন দেশটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে গাজা শহরের রাফাহ অঞ্চলে থাকা উদ্বাস্তুদের একটি শিবিরে বোমা হামলা করেছে। সর্বশেষ এই হামলায় গাজার অন্তত ৪৫ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে চলমান সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলের বোমা হামলায় গাজায় ৩৬ হাজার ১৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ হাজারের অধিক নারী। আর ১৭ হাজারের অধিক শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। গাজায় ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছে ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মরদেহ।