ভারতের অরুণাচল প্রদেশে বিজেপির জয়জয়কার

বিজেপি
  © ফাইল ছবি

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার আগেই আজ রবিবার (০২ জুন) প্রকাশিত হয়েছে অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল। তাতে নরেন্দ্র দুইবারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির জয়জয়কার। ৬০ আসনের অরুণাচল বিধানসভায় ৪৬টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এতে অরুণাচলে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি।

এদিকে সিকিমে ক্ষমতায় এসেছে সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা (এসকেএম)। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় তারা। ৩২ আসনের মধ্যে পেয়েছে ৩১টি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, অরুণাচল প্রদেশে জেতার জন্য আসন সংখ্যা দরকার ছিল ৩১টি। সেক্ষেত্রে বিজেপি সেই ম্যাজিক সংখ্যা পেরিয়ে গেছে। তাদের আর নতুন করে অন্য কারো সঙ্গে জোট করতে হবে না।  

অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটের ফল নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ অরুণাচল প্রদেশ। এই রাজ্য উন্নয়নের পক্ষে মানুষ রায় দিয়েছে। আবার বিজেপির পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য আমার কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি তাঁদের প্রতি। আমাদের দল আরও নতুন উৎসাহ নিয়ে রাজ্যের উন্নতিতে কাজ করে যাবে।’

৬০ আসনের অরুণাচল বিধানসভায় ৪৬টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। এর আগেই অবশ্য ১০টিতে জিতেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। আর এতে মুখ্য়মন্ত্রী পেমা খান্ডুর নেতৃত্বে টানা তিনবার অরুণাচলে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপি। কংগ্রেস মাত্র একটি আসনে জিতেছে। এনপিইপি জিতেছে ৫টিতে। 

এদিকে সপ্তম ও শেষ দফায় নির্বাচনে অভিনব পন্থা অবলম্বন করেন নরেন্দ্র মোদি। টানা ৪৫ ঘণ্টা ধ্যান করেন তিনি। এতে ভারতের ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে দাগ কেটে গেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এজন্য শেষ দফা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি বড় প্রভাব ফেলেছে বলেও অনেকের ধারণা। 

উল্লেখ্য, ২০১৪ সাল থেকে টানা দুইবার প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এই দুইবারে করা নির্বাচনী ওয়াদার তেমন কিছুই রাখতে পারেননি দলটে। দুই কোটি চাকরি দেওয়া, প্রতি পরিবারকে ১৫ লাখ করে টাকা দেওয়া, কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনাসহ একটি কথাও রাখতে পারেনি নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। এজন্য এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় মোদি এসবের পরিবর্তে বেছে নেন হিন্দুত্ববাদকে। নির্বাচনী প্রচারণায় সরাসরি মুসলিম বিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন। আবার এ-ও বলেছেন, তিনি হিন্দু-মুসলিম নিয়ে কখনও রাজনীতি করেন না। মোদ্দাকথা যেখানে যা বললে নিজের সুবিধা, সেখানে তাই বলে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছেন। মোদির এসব প্রচেষ্টা কাজে দিয়েছে বলে অনেক বিশ্লেষকের ধারণা।


মন্তব্য