জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের জন্য বিদেশি সহায়তা বন্ধের উদ্যোগ ইসরায়েলের

ইসরায়েল
  © ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনিদের কোনঠসা করার নিত্যনতুন ফন্দি আটছে দখলদার ইসরায়েল। এরই অংশ হিসেবে এবার জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের জন্য বিদেশি সহায়তা মিশন বন্ধ করতে যাচ্ছে দেশটি। এ সংক্রান্ত একটি বিল ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে প্রাথমিকভাবে পাস হয়েছে।

তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (৫ জুন) বিলটি পাস হয়। তাতে বলা হয়, জেরুজালেমে অ-ইসরায়েলিদের জন্য (ফিলিস্তিনিদের জন্য) সেবা কার্যক্রমের লক্ষ্যে কূটনৈতিক মিশন খোলা নিষিদ্ধ করা হবে।

বিলটি ১৮-৭ ভোটে পাস হয়। আইনে পরিণত হতে এখনও আরও তিনটি ভোটে পাস হতে হবে।

বিলটিতে উল্লেখ আছে, কোনো বিদেশি রাজনৈতিক পক্ষকে জেরুজালেমে কূটনৈতিক মিশন খুলতে বা পরিচালনা করার অনুমতি দেবে না ইসরায়েল। যুক্তি হিসেবে বলা হয়, এসব মিশন ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করতে পারে।

জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুটি পক্ষই পবিত্র শহর মনে করে। আন্তর্জাতিকভাবে এটি দ্বিখণ্ডিত শহরের তকমা পেয়েছে। এখানে সরাসরি বিমান হামলা না চালালেও ইসরায়েলের আগ্রাসন থেমে নেই। তারই একটি নমুনা বিদেশি সহায়তা মিশন বন্ধের চেষ্টা।

এদিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা চলছেই। গাজায় এবার জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। গাজা মিডিয়া অফিস এ দাবি করেছে। খবর রয়টার্সের।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) নুসেইরাত এলাকায় স্কুলটি পরিচালনা করছিল। এটি উদ্বাস্তুদের আবাস হিসেবেও ব্যবহার করা হচ্ছিল।

সংবাদমাধ্যমটির বৃহস্পতিবারের (৬ ‍জুন) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে তারা স্কুলকে টার্গেট করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা বলেছে, বিদ্যালয়টি হামাসের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে নেতানিয়াহুর বাহিনী। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব সত্ত্বেও তারা অবিরাম বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলের হামলায় সাড়ে ৩৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া ৮৩ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। এদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


মন্তব্য