ওড়িশার প্রথম মুসলিম বিধায়ক হয়ে আলোচনায় সোফিয়া

ওড়িশা
  © সংগৃহীত

ভারতের ওড়িশা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ইতিহাস গড়েছেন সোফিয়া ফিরদৌস। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে প্রথম মুসলিম নারী এমএলএ নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।

ভারতের জনসংখ্যার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ মুসলিম হলেও সেই তুলনায় বিভিন্ন নির্বাচনে নির্বাচিত মুসলিম জনপ্রতিনিধির সংখ্যা অতি নগন্য। এবার লোকসভা নির্বাচনে মুসলিম প্রার্থী ছিল মোট ৭৮ জন। বিভিন্ন দলের এসব প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন মাত্র ১৫ জন।

লোকসভার পাশাপাশি এবার চারটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশা তার একটি। এবার এ রাজ্যে চমক দেখিয়েছে বিজেপি।
 
লোকসভার ২১টি আসনের মধ্যে ১৯টিতেই জয় পেয়েছে দলটি। পাশাপাশি ১৪৭টি আসনের ওড়িশা বিধানসভায় ৭৮টিতে জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে নরেন্দ্র মোদির পদ্মশিবির।
  
বিজু জনতা দল বা বিজেডি ৫১টি এবং কংগ্রেস ১৪টিতে জিতেছে। অন্যরা পেয়েছে চারটি। কংগ্রেস যে ১৪টিতে জয় পেয়েছে তার মধ্যে বড়বাটি-কটক অন্যতম। এই বড়বাটি-কটকের এমএলএ হলেন সোফিয়া ফেরদৌস।
 
৩২ বছর বয়সী সোফিয়ার জন্ম রাজনৈতিক পরিবারে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মোহাম্মদ মকিমের মেয়ে তিনি। ‍দুর্নীতির অভিযোগে মকিমের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় তার আসনে প্রার্থী হন সোফিয়া। আর প্রথমবারেই এমএলএ বা বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি।
 
সোফিয়া উচ্চশিক্ষিত। কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক করেছেন। এরপর বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে এক্সিকিউটিভ জেনারেল ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছেন তিনি।
  
২০২৩ সালে কনফেডারেশন্স অফ রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (ক্রেডাই) ভুবনেশ্বর চ্যাপ্টারের সভাপতি নির্বাচিত হন সোফিয়া। এই সংগঠনের নারী শাখার ইস্ট জোনের কোর্ডিনেটর হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
 
এছাড়া ইন্ডিয়ান গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (সিআইআই) ভুবনেশ্বর চ্যাপ্টারের কো-চেয়ার এবং আইএনডব্লিউইসি’র কোর মেম্বার ছিলেন সোফিয়া। বিশিষ্ট শিল্পপতি শেখ মিরাজ উল হককে বিয়ে করেছেন তিনি। ওডিশার প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী নন্দিনী শতপথীও এই আসন থেকেই ১৯৭২ সালে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, রাজ্যটির এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ১৪৭ আসনের মধ্যে ৭৮টি তেই জয় পেয়েছে বিজেপি। তারা রাজ্য বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পেয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন বিজু জনতা দলের (বিজেডি) রাজ্য সরকারের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটেছে। নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছে ১৪টি আসন। অপরদিকে বিজেডি জয়লাভ করেছে ৫১টি আসনে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য রাজ্যটির বিধানসভায় প্রয়োজন হয় ৭৪টি আসন।