১৭ জুন ২০২৪, ১৮:১১

বাধা সত্ত্বেও আল-আকসা প্রাঙ্গণে ঈদ জামাতে ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি

  © সংগৃহীত

ব্যাপক কড়াকড়িতে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু সেখানে কোনো উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল না।

গতকাল রবিবার (১৭ জুন) আল-আকসার ঈদের জামাতে গাজা উপত্যকায় আট মাস ধরে চলা ইসরাইলের হামলায় নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন মুসল্লিরা। খবর আনাদোলু এজেন্সি’র।

ঈদুল আজহায় আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে মুসল্লিদের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল ইসরাইলি বাহিনী। ব্যাপক তল্লাশির পর ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারেন অনেকে। তবুও নামাজের কাতার ছাড়িয়ে যায় আল আকসা প্রাঙ্গণ।

জেরুজালেমের ইসলামিক এনডাউমেন্টস বিভাগ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লি সেখানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। যদিও কয়েক হাজার মুসল্লিকে সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরাইলি দখলদার বাহিনী রবিবার সকালে আল-আকসা মসজিদে যাওয়ার পথে এবং সেখান থেকে বের হওয়ার সময় নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় এবং অনেক মুসল্লিকে ঈদের নামাজ পড়তে প্রবেশ করতে বাধা দেয়।

তবে এ বছর আল আকসায় ঈদের নামাজ আদায় করা ইসরাইলিদের সংখ্যা গত বছরে তুলনায় অনেক কম। ২০২৩ সালে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর আগ্রাসনের মধ্যেও ১০ লাখ ‍মুসল্লি মসজিদটিতে ঈদের নামাজ পড়েছিলেন।

এদিকে, ইসরাইলি সেনাসদস্যরা অধিকৃত পশ্চিম তীরের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদেও ফিলিস্তিনিদের প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। তারপরও সেখানে আট-দশ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন।

হেবরনের ওয়াকফ বিভাগের প্রধান ঘাসন আল-রাজাবি বলেন, ইসরাইলিরা বিভিন্ন মসজিদে মুসলমানদের প্রবেশে বেশ বাধার সৃষ্টি করে। এরই অংশ হিসেবে তারা হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ রোধের চেষ্টা করে। তারপরও প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি মসজিদটিতে ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৩৪৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৮৫ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজার অর্ধেকের বেশি স্থাপনা।