লেবাননে রাতভর ইসরাইলি হামলা

লেবানন
  © সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় গত ১০ মাস ধরে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের বর্বর হামলায় ৩৮ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। 

তবে শুধু ফিলিস্তিনের গাজাই নয়, পাশাপাশি লেবাননেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছিলো ইসরায়েল। তবে এবার লেবাননে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইহুদিবাদী দেশটি। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। দেশটির আইতা আল-শাব, রাব এল-থালাথিন, আল আদ্দাউসিয়ে এবং খিয়ামেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আল-জাজিরা’র। 

আইডিএফ দাবি করেছে, তারা হিজবুল্লাহর একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র, রকেট লঞ্চার বহনকারী ট্রাক এবং তাদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।

তবে, এসব হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহত হয়েছে- সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বিবৃতিতে বলা হয়নি। ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। 

হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলায় এক সেনা আহত- এমন খবর প্রকাশের পরেই লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে রাতভর হামলা চালালো ইসরাইল। ইসরাইলের নতুন এ হামলার ফলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়লো। 

গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। এতে এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও ৯০ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। সেইসঙ্গে ২০ হাজারের বেশি শিশু নিখোঁজ রয়েছে।

গাজায় হামলা শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরাইলের ওপর হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুঁশিয়ারি দিয়েছে, গাজায় হামলা বন্ধ না হলে ইসরাইলের ওপর তারা হামলা চালিয়ে যাবে। এরপর থেকে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। 

সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, দুই পক্ষের মধ্যে যেকোনো সময় পুরো মাত্রায় যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।