বাংলাদেশকে তিস্তার পানি দেওয়া হবে না
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫২ AM , আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫২ AM

বাংলাদেশকে তিস্তার পানি দেওয়া হবে না-স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর মতে, প্রতিবেশী দেশকে তিস্তার পানি দিলে পশ্চিমবঙ্গে খাবার পানির সংকট হবে। বাংলাদেশে তিস্তার পানি দেওয়া নিয়ে এর আগেও বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছিল মমতা ব্যানার্জিকে। আর এবার গতকাল রাজ্য বিধানসভা অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিস্তা ইস্যুতে সরব হয়েছেন মমতা। একতরফাভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টনের সম্ভাবনা নিয়ে বিজেপিকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের স্বার্থেই তিস্তার পানি দেওয়া অসম্ভব।’
মমতা ব্যানার্জি বলেন, ‘তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের বিজেপি সরকার। এই সংক্রান্ত বিষয়ে অনলাইনে সতর্কবার্তা দেওয়া যায়। কিছুই করা হয়নি। ২০২৬ সালে গঙ্গার পানিবণ্টন সংক্রান্ত ফারাক্কা চুক্তি নবায়ন হবে। ২০২৪ সালেই ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে কমিটি। যে কমিটি পাঠানো হচ্ছে, তাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ৯ জন এবং পশ্চিমবঙ্গের এক জন প্রতিনিধি রাখা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ফারাক্কা ব্যারেজ কমিউনিটির ওপর পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। আমিও বাংলাদেশকে পানি দিয়েছি। কিন্তু আমি পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেব। কারণ, এখানকার মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছেন। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ভারত সরকার অগ্রিম চুক্তি করে দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ কোনো আলোচনায় থাকতে পারছে না।’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে গঙ্গা-পদ্মার পানিবণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি করার সময় পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে আলোচনা করেছিল ভারত সরকার। পরে তাকে বাংলাদেশ সরকারও সংবর্ধনাও দেয়। কিন্তু এবার পশ্চিমবঙ্গকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফারাক্কা ব্যারেজের পার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আগে পালন করুক ভারত সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করুক।’
এদিন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভারত-বাংলাদেশ নদী কমিশনের আদলে ভারত-ভুটান নদী কমিশন গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা।