এবার গাজায় পোলিওর হানা

ফিলিস্তিনে
  © ফাইল ফটো

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা এখন ধ্বংসপুরী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন উপত্যকার বাসিন্দারা। ফলে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে সতর্ক করে আসছে জাতিসংঘ। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় দুই দশকের মধ্যে প্রথম পোলিও রোগী শনাক্ত হয়েছে।

গাজায় কয়েক লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের যুদ্ধবিরতির আহ্বানের মধ্যেই সেখানে পোলিও রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাতে করে গাজায় ২৫ বছরের মধ্যে কোনো পোলিও রোগী শনাক্ত হল।

রামাল্লায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার ১০ মাস বয়সী এক শিশুর শরীরে পোলিওর উপসর্গ দেখেন চিকিৎসকরা। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রোগটি ধরা পড়ে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযাযী, যুদ্ধের মধ্যে গত জুনে গাজার বর্জ্য পানি থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় টাইপ-২ পোলিও ভাইরাস ধরা পড়েছিল।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ৬ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি শিশুকে টিকা দেওয়ার জন্য সাত দিন করে দুই দফার যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর পরপরই পোলিও ধরা পর বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ জানিয়েছে, তারা টাইপ-২ পোলিও ভাইরাস (সিভিডিপিভি২) মোকাবিলায় গাজায় সাত দিন করে দুই দফায় টিকাদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। চলতি মাসের শেষে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে পারে।

সংস্থা দুটি এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধ বিরতি হলে শিশু ও পরিবারগুলো নিরাপদে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারবে। একইভাবে টিকার জন্য যারা কেন্দ্রে যেতে পারবে না তাদের দোরগোড়ায় যেতে পারবেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ভূখণ্ডে হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ মানুষের মৃত্যু হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয় বলে দাবি করে আসছে ইহুদী রাষ্ট্রটি। এর পাল্টায় গাজায় যে অভিযান ইসরায়েল চালিয়ে আসছে, তাতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে বলে হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য।