নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০১:২৬ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০১:২৬ PM
সোমবার তেল আবিবে পৌঁছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টন ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার খুবই কার্যকর বৈঠক হয়েছে।
তিনি বলেন, নেতানিয়াহু তাকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তা তিনি মেনে নিচ্ছেন। এখন হামাসও যেন তা মেনে নেয়।
ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, 'ইসরায়েলের বন্দিদের মুক্তি দিয়ে গাজায় ফিলিস্তিনিদের স্বস্তি ফেরানোর বিষয়টি এখন হামাসের ওপর নির্ভর করছে।'
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, 'এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়। যুদ্ধবিরতি চালু করে বন্দিদের ঘরে ফেরানোর এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার এর থেকে ভালো সুযোগ সম্ভবত আর পাওয়া যাবে না।'
গতকাল ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শেষে মন্তব্য করেন, চলমান আলোচনা 'খুব সম্ভবত যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি বাস্তবায়নের শেষ সুযোগ'।
ইসরায়েল সফরশেষে ব্লিঙ্কেন কাতারের পথে রওনা হবেন। কাতারও যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন ব্লিঙ্কেন।
মধ্যস্থতাকারীদের একাংশ মনে করছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত হতে বাধ্য। তবে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার ফলে এই সংঘাত আরো বেড়ে যেতে পারে, এমন আশংকাও করছেন অনেকে।
এ সপ্তাহের শেষদিকে মিশরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারও আলোচনা হবে। ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পর ১০ মাসে এই নিয়ে নয়বার মধ্যপ্রাচ্য সফর করলেন ব্লিঙ্কেন।
নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তার সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বৈঠক কার্যকর হয়েছে। তিনি অনুরোধ করেন, এ সময় কোনো পক্ষ যাতে এমন কোনো কাজ না করে, যাতে যুদ্ধবিরতির চলমান প্রক্রিয়া বানচাল হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এ হামলায় ১ হাজারের অধিক মানুষ নিহত হয়। এ সময় ২০০ জনের অধিক মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যায় দলটি। এর প্রতিক্রিয়ায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ওইদিন থেকেই গণহত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। বেসামরিক হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করছে দেশটি। আর এই গণহত্যায় সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, কানাডাসহ পশ্চিমা শক্তিশালী দেশগুলো।
গত ১০ মাসের অধিক সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় ৪০ হাজার ১০০ জনের অধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছে ৯২ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি। এতো হত্যাযজ্ঞের পরেও কার্যত ইসরায়েলকে কিছু না বলে হামাসকেই দোষী সাব্যস্ত করতে ব্যস্ত পশ্চিমারা।
সূত্র: আল জাজিরা, এএফপি, এপি, রয়টার্স