দাঁড়ি না রাখায় চাকরি হারালেন আফগানিস্তানের ২৮০ সেনা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৪, ০৮:২৯ AM , আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২৪, ০৮:২৯ AM
দাঁড়ি না রাখায় নিরাপত্তা বাহিনীর ২৮০ জনেরও বেশি সদস্যকে বরখাস্ত করেছে আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালেবানের নৈতিকতা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া মঙ্গলবার ওই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছর আফগানিস্তানে ‘অনৈতিক কাজের’ জন্য ১৩ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করা হয়েছিল। তবে আটককৃতদের প্রায় অর্ধেককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও আইন বিভাগের পরিচালক মহিবুল্লাহ মোখলিস একটি সংবাদ সম্মেলনে জানান, কর্মকর্তারা গত বছর ২১ হাজার ৩২৮টি বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি হাজার হাজার কম্পিউটার অপারেটরকে বাজারে ‘অশ্লীল’ চলচ্চিত্র বিক্রি করতে বাধা দিয়েছে।
এ সময় ইসলামি আইনের অধীনে দাঁড়ি না রাখার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর ২৮১ সদস্যকে চিহ্নিত করে বরখাস্ত করার কথাও জানান মোখলিস। ২০২১ সালে তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করলে দেশটির নারী মন্ত্রণালয় বাতিল করে নৈতিকতা মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়।
ইতিপূর্বে ইসলামিক ব্যাখ্যা অনুসারে পোশাক না পরার অভিযোগে আফগানিস্তানে অসংখ্য নারীকে নৈতিকতা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা হেনস্তা করেছেন বলে জানিয়েছিল দেশটিতে থাকা জাতিসংঘের মিশন।
নৈতিকতা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসলামিক পোশাকের নিয়মগুলো নিশ্চিত করার জন্য একটি নতুন পরিকল্পনার ওপর কাজ চলছে। বিষয়টি এখন দক্ষিণের শহর কান্দাহারে থাকা তালেবানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতার তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
মোখলিস বলেন, ‘সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশনার ভিত্তিতে নারীদের পর্দা নিয়ে খসড়া পরিকল্পনা প্রণয়ন ও অনুমোদন করা হয়েছে।’
নৈতিকতা মন্ত্রণালয় এর আগে বলেছিল, নারীদের মুখ ঢেকে রাখা উচিত বা পুরো শরীর ঢেকে রাখে এমন বোরকা পরা উচিত। তালেবানরা ক্ষমতা দখলের আগে আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের নারীরা সাধারণত তাঁদের চুল ঢেকে রাখতেন। যদিও রাজধানী কাবুলের নারীরা এটিরও প্রয়োজন বোধ করতেন না।
মোখলিস জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে তারা নারী বিক্রির মাত্র ২০০টি এবং নারীর প্রতি সহিংসতার ২ হাজার ৬০০ টির বেশি মামলা প্রতিরোধ করেছেন।