ভারতে ৩০ কিলোমিটার তাড়া করে তরুণকে হত্যা করলো গোরক্ষক দল

হত্যা
  © সংগৃহীত

মোদি সরকার আসার পর থেকে গোরক্ষার নামে অতি বাড়াবাড়িতে ক্রমেই সাম্প্রদায়িক ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। সম্প্রতি গোমাংস বহন করার অভিযোগে ট্রেনে এক বৃদ্ধ মুসলিমকে হেনস্তা ও হামলা করে উগ্রপন্থীরা। এবার হরিয়ানার রাজ্যের পালওয়াল জেলায় ৩০ কিমি গাড়ি ধাওয়া করে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে।  

মঙ্গলবার (০৪ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, গরু পাচারকারী সন্দেহে আরিয়ান মিশ্রা নামের ওই তরুণকে খুন করা হয়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ১৯ বছর বয়সি আরিয়ান মিশ্রা বন্ধুদের সঙ্গে গাড়িতে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। গোরক্ষকেরা তাকে একজন গরু পাচারকারী হিসেবে সন্দেহ করে। তাদের ভয়ে গাড়ি নিয়ে পালাতে চাইলেও রক্ষায় হয়নি আরিয়ানের। প্রায় ৩০ কিলোমিটার তাড়া করে গুলি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে গোরক্ষকেরা।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  পুলিশ জানিয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত অনিল কৌশিক (৩৮) ‘লাইভ ফর নেশন’ নামে একটি সংগঠন চালায় যা গোরক্ষকদের পক্ষে।

শুধু এটিই নয়, বুধবার আরেক প্রতিবেদনে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, দিল্লি থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার চরখি দাদরির বাধরা এলাকায় এক মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

নিহত ব্যক্তির নাম সাবির মালিক।  তিনি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বাসিন্দা। ওই ব্যক্তি পরিবারের সঙ্গে চরখি দাদরির একটি বস্তিতে থাকতেন। পেশায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী।

উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কুমারী মায়াবতীও এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘গরুর মাংস খাচ্ছে এই সন্দেহে চরখি দাদরিতে এক দরিদ্র যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে মারার ঘটনাটি মানবতার জন্য লজ্জাজনক এবং এটি আইনের শাসনকে উন্মোচিত করে।’

অন্যদিকে রাহুল গান্ধী এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ঘৃণ্য উপাদানগুলি আইনের শাসনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রকাশ্যে সহিংসতা ছড়াচ্ছে। সংখ্যালঘুরা, বিশেষত মুসলমানদের উপর হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং রাষ্ট্র নীরব দর্শকের মতো সব দেখছে।’