ইসরায়েলের সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর একটি জোট গঠন করা উচিৎ: এরদোগান
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ PM , আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ PM

ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ফিলিস্তিনিদের ওপর অত্যাচার করে আসছে দেশটি। সর্বশেষ ৭ অক্টোবর হামাসের হামলাকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিনিদের ওপর জাতিগত নিধন শুরু করেছে দেশটি। ওইদিন থেকে এখন পর্যন্ত অবরুদ্ধ গাজা ও পশ্চিম তীরে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের বর্বর হামলায় ৪১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলের এই গণহত্যায় প্রথম থেকেই ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এবার তিন বলেছেন, ইসরায়েলের 'ক্রমবর্ধমান সম্প্রসারণবাদের হুমকি'র বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর একটি জোট গঠন করা উচিত। সম্প্রতি ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক তুর্কি-আমেরিকান নারীকে ইসরায়েলি সেনাদের নির্মম হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি এ আহ্বান জানান।
স্থানীয় সময় শনিবার ইস্তাম্বুলে ইসলামিক স্কুলস অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেন, 'ইসরায়েলি ঔদ্ধত্য, ইসরায়েলি দস্যুতা এবং ইসরায়েলি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার একমাত্র উপায় হচ্ছে ইসলামিক দেশগুলোর জোট।'
তিনি বলেন, মিশর ও সিরিয়ার সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে তুরস্ক সম্প্রতি যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার লক্ষ্য হচ্ছে 'সম্প্রসারণবাদের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিরুদ্ধে সংহতি' গড়ে তোলা। ইসরায়েলের আগ্রাসনের কারণে এখন লেবানন ও সিরিয়াও হুমকির মুখে রয়েছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এক বিবৃতিতে এরদোয়ানের মন্তব্যকে 'বিপজ্জনক মিথ্যা ও উস্কানিমূলক' বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি এরদোয়ান সম্পর্কে বলেন, এই তুর্কি নেতা এই অঞ্চলের মধ্যপন্থী আরব সরকারগুলোকে দুর্বল করতে বহু বছর ধরে ইরানের সঙ্গে কাজ করছেন।
গত সপ্তাহে তুরস্ক সফরে আসেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। এটি গত এক যুগের মধ্যে দেশটির প্রথম কেনো প্রেসিডেন্টের সফর। এসময় তারা গাজা যুদ্ধ এবং নিজেদের মধ্যকার দীর্ঘ-হিমশীতল সম্পর্কের উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
২০২০ সালে তুরস্ক সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবসহ বিচ্ছিন্ন আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু করলে তাদের মধ্যকার বরফ গলতে শুরু করে।
গত জুলাইয়ে এরদোয়ান বলেছিলেন, ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সম্পর্ক ছিন্ন করা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সম্ভাব্য আলোচনার জন্য 'যেকোনো সময়' সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে আমন্ত্রণ জানাবে তুরস্ক।
শুক্রবারের ঘটনার পর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ওই এলাকায় গোলাগুলির ফলে এক বিদেশি নারী নিহত হয়েছেন বলে যে খবর পাওয়া গেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত ঘটনা এবং কোন পরিস্থিতিতে তার ওপর আক্রমণ করা হয়েছে তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
শুক্রবারের ঘটনা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।