গুজরাটের জুনাগড় শহরের মালিকানা দাবি পাকিস্তানের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ PM , আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ PM

চির প্রতিদ্বন্দী দেশ বলা হয় ভারত ও পাকিস্তানকে। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মধ্যেই রয়েছে বিতর্ক। প্রায়ই সীমান্তে গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়। ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মীর পাকিস্তান তাদের বলে দাবি করে। আবার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর ভারত নিজেদের বলে দাবি করে। তবে এবার ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের জুনাগড় শহরকে নিজেদের অঞ্চলের পুরো দাবি আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছে পাকিস্তান।
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালোচ সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পুরোনো এই দাবি নতুন করে তুলে ধরেছেন।
ভারতের গুজরাটের জুনাগড় শহরের মালিকানা ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে ওই অঞ্চলে ভারতের অবৈধ দখলদারিত্বের নিন্দা জানিয়েছেন মমতাজ। তিনি বলেছেন, ১৯৪৮ সালে দখল করা ভারতের গুজরাটের জুনাগড় শহর সম্পর্কে পাকিস্তানের নীতি ‘‘সবসময়ই পরিষ্কার’’।
‘‘জুনাগড় পাকিস্তানের সাথে যুক্ত ছিল। বিষয়টিকে ঐতিহাসিক ও আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে পাকিস্তান। জুনাগড় পাকিস্তানের অংশ ছিল। শহরটিকে ভারতের অবৈধভাবে দখল করে রাখাটা জাতিসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।’’
‘‘পাকিস্তান সবসময় জুনাগড় ইস্যুটি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ফোরামে উত্থাপন করে আসছে এবং এর শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়’’ বলে মন্তব্য করেছেন মমতাজ। তিনি বলেন, জুনাগড় ইস্যুকে ভারতের অবৈধভাবে দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মিরের মতো একটি অমীমাংসিত অ্যাজেন্ডা হিসাবে বিবেচনা করে পাকিস্তান।
তবে জুনাগড়কে নিজেদের শহর বলে পাকিস্তানের এই দাবি এবারই নতুন নয়। এর আগে, ২০২০ সালে ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলকে নিজেদের রাজনৈতিক মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছিল পাকিস্তান।
ওই সময় দেশটির মন্ত্রিসভায় নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রের অনুমোদনও দেওয়া হয়। সেই মানচিত্রে ভারতের গুজরাটের জুনাগড় ও মানবগড় শহর এবং স্যার ক্রিক অঞ্চলকেও পাকিস্তানের অংশ বলে দাবি করা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সাথে ইতিবাচক ও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে পাকিস্তানের আগ্রহের কথা জানান মমতাজ। বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেছেন, উভয় দেশের সরকারের সহযোগিতায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নতি ঘটবে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের শক্তিশালী সম্পর্ক উভয় দেশের জনগণের জন্যই উপকারী।
সূত্র: ডেইলি টাইমস পাকিস্তান।