স্বাধীন ফিলিস্তিনি প্রতিষ্ঠা ছাড়্রা যুদ্ধপরবর্তী কোন পরিকল্পনায় ইসরায়েলকে সমর্থন দেবে না আমিরাত
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ PM , আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৫ PM
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় নির্বাচার হামলা চালিয়ে উপত্যকাটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে দখলদার ইসরায়েল। এরপর যুদ্ধ পরবর্তী গাজা কীভাবে পরিচালনা করা হবে, সে বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা দিয়েছে দেশটি। তবে স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হলে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ পরবর্তী কোনো পরিকল্পনায় ইসরায়েলকে সমর্থন দেবে না বলে জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
গতকাল শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। খবর আল জাজিরার।
এক্সে দেওয়া পোস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হলে গাজায় যুদ্ধ পরবর্তী কোনো পরিকল্পনাকে সমর্থন করতে প্রস্তুত নয় সংযুক্ত আরব আমিরাত।
গত মে মাসে অনলাইনে গাজা নিয়ে যুদ্ধ পরবর্তী একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি দাবি করেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ফিলিস্তিনিরা ‘অতুলনীয় সমৃদ্ধি’ উপভোগ করবে।
এই পরিকল্পনায় গাজায় বন্দর, সৌর বিদ্যুৎ, বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন এবং নতুন আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র থেকে সুবিধা লাভের মতো বিনিয়োগের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইসরায়েলের মতে, ‘বিজয়ের দিন’ থেকে শুরু করে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত তিনটি ধাপে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে।
পরিকল্পনার আওতায়, ইসরায়েলি দখলের অধীনে ফিলিস্তিনিরা এই প্রকল্প পরিচালনা করবে। আরব রাষ্ট্রগুলোর একটি জোট এই বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবে, যেখানে আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন, জর্ডান এবং মরক্কো শরিক থাকবে।
এই পরিকল্পনা প্রকাশের পর আবদুল্লাহ বিন জায়েদ নেতানিয়াহুর তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপের কোনো বৈধতা নেই, এবং এ বিষয়ে আরব আমিরাতের সঙ্গে কোনো পরামর্শ করা হয়নি।