স্কুলে খেলছিলো শিশুরা, হঠাৎ দুই গোলা এসে কেড়ে নিলো ১৩ শিশুসহ ২২ প্রাণ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ PM , আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ PM
১১ মাসের অধিক সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে গাজা উপত্যকায় নিরাপদ বলে কোন জায়গা অবশিষ্ট নেই। মসজিদ, হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির এমনকি আশ্রয়কেন্দ্রেও হামলা চালায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। এ কারণে এক আশ্রয়কেন্দ্র থেকে আরেক আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হয় ফিলিস্তিনিদের। এবার আরও একটি হামলা হলো। তাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২২ জন নিহত হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, শনিবার গাজা শহরের দক্ষিণাঞ্চলে এই হামলা হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। হামাস পরিচালিত সরকারের মিডিয়া অফিসার জানান, নিহতদের মধ্যে ১৩ শিশু ও ৬ নারী রয়েছে।
আর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলছে, আগে এখানে স্কুল থাকলেও সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের একটি কমান্ড সেন্টার এটি। এ কারণে হামলা করা হয়েছে। তবে এসব কথা অস্বীকার করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, স্কুলের দেওয়াল ধসে গেছে। পুড়ে গেছে সব ফার্নিচার। একটি কক্ষের ছাদে ফুঁটো হয়ে গেছে। যারা বেঁচে আছেন, তারা হতবাকের মতো বসে আছেন এখানে সেখানে।
এ ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে সাঈদ আল-মালাহি নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘স্কুলের মাঠে নারী ও তাদের বাচ্চারা বসে ছিল। ওই সময় সেখানে শিশুরা খেলা করছিল। এর মধ্যেই হুট করে দুটি রকেট এসে আঘাত হানে।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় থামছে না ইসরায়েলি হামলা। প্রতিদিনই প্রাণ যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। গত বৃহস্পতিবারের হামলায় ইসরায়েলি বোমায় অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এরপর গাজা সিটিতে দুটি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১২ ফিলিস্তিনি।
এ নিয়ে গাজায় গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা হামলায় প্রাণ গেল ৪১ হাজার ৩২০ জনের। এ ছাড়া আহতের সংখ্যা ৯৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গাজার বেসামরিক কর্তৃপক্ষের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।