ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্তেও ভারতীয় গণমাধ্যমের কটাক্ষ
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ PM , আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ PM
এবারের দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ পাঠানো হবে না, অন্তর্বর্তী সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর ডিম আমদানি করলে ব্যাপক কটাক্ষ করে সংবাদ প্রকাশ করে ভারতীয় গণমাধ্যম। তবে ভারতের উচ্চপর্যায়ের অনুরোধে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
ইলিশ ছাড়া দুর্গাপূজার উৎসব পূর্ণতা পাবে না। ভারতীয়দের এই আবেগের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দুর্বলতাকে কটাক্ষ করেছে দেশটির কিছু সংবাদমাধ্যম। ভারতের উচ্চ পর্যায় থেকে বারংবার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সৌজন্য দেখিয়ে সামান্য ইলিশ রপ্তানি করতে রাজি হয়েছে ঢাকা। কিন্তু এই বিষয়টিকে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ, তাই বাড়তি কিছু ডলার আয়ের আশায় ভারতে ইলিশ রপ্তানি’ হিসেবে তুলে ধরেছে ভারতের কিছু গণমাধ্যম।
প্রথমে বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছিল, অন্যান্য বছরের মতো এবারও ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হবে না। বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এ তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।
এ ঘোষণার পর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয় হাহাকার। ভারতের উচ্চ পর্যায় থেকেও আসে ইলিশ রপ্তানির জন্য বিশেষ অনুরোধ। পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকার ভারতে সীমিত পরিসরে ইলিশ রপ্তানির ঘোষণা দিলে স্বস্তি ফিরে পায় ভারতের ইলিশপ্রেমীরা।
তবে এই বিষয়টিকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দুর্বলতার প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেছে ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম। ভারতের হিন্দুস্তান টাইমস তাদের খবরে লিখেছে, বাংলাদেশের রিজার্ভের অবস্থা খুবই খারাপ। আর সে কারণেই বাড়তি ডলারের আশায় ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে। তারা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ‘উপহার হিসেবে নয়, বরং ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে’। অর্থাৎ অর্থের বিনিময়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।
হিন্দুস্তান টাইমস আরও লিখেছে, ইলিশ রপ্তানি করে যে পরিমাণ ডলার আসবে তা মোটেও হেলাফেলার নয়।
উল্লেখ্য, ইলিশ রপ্তানি করে ডলার আয়ের চিন্তা থাকলে বাংলাদেশ আরও আগে থেকেই তা রপ্তানি করতে পারত। কিন্তু বর্তমান সরকারের উপদেষ্টারা বারবার জানিয়েছিলেন, দেশের মানুষের চাহিদা মেটানোর পরই কেবল তা রপ্তানি করা যেতে পারে। কিন্তু বারবার অনুরোধের প্রেক্ষিতে ইলিশ রপ্তানিতে রাজি হয়ে ঢাকাকে এখন উল্টো কথা শুনতে হচ্ছে।