নিউইয়র্কে ড. ইউনূস-শাহবাজ বৈঠক: সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়ে ঐক্যমত

ইউনূস
  © সংগৃহীত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা- সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সরকারপ্রধান ঐকমত্য পোষণ করেছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ‘নতুন পৃষ্ঠা’ উন্মোচন করা উচিত বলে মত দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শেহবাজ শরীফ। সাধারণ পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে তাদের মধ্যে এ সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় দুই দেশের সরকারপ্রধান দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক সহযোগিতার শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানান।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করা এবং এক্ষেত্রে একটি ভালো উপায় হতে পারে পাকিস্তানের সমর্থন।’ উত্তরে শেহবাজ শরীফ তার সমর্থনের কথা ব্যক্ত করেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্মকে পুনরুজ্জীবিত করতে ধাপে ধাপে তারা এগিয়ে যাবেন।

শরীফ বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উচিত তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘নতুন পৃষ্ঠা’ উন্মোচন করা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করা খুবই জরুরি।’

শরীফ বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও চামড়া খাতে তার দেশের বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ‘যুব কর্মসূচি’ বিনিময়ের প্রস্তাব দেন।

এ ছাড়া, দুই দেশর পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনা নবায়ন এবং দুই দেশের মধ্যে যৌথ কমিশন পুনরায় সক্রিয় করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আলোচনাকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বাংলাদেশ সরকারকে ‘পূর্ণ সমর্থনের’ কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

বৈঠকে ড. ইউনূস বিগত সরকারের আমলে সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা জো বাইডেনকে জানান। অধ্যাপক ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, ‘দেশ পুনর্গঠনে তার সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে।’

এ সময় যে কোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

এদিন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বেশ কয়েকজন সরকারপ্রধান ও বিভিন্ন সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। সংক্ষিপ্ত বৈঠকে বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্ক জোরদার, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ড. ইউনূস ও জাস্টিন ট্রুডো।