গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি হামলা অনৈতিক: পোপ

লেবানন
  © ফাইল ছবি

প্রায় ১ বছর ধরে ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজায় গণহত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। এর পাশাপাশি এবার লেবাননের বিরুদ্ধেও পূর্ণমাত্রায় হামলা চালাচ্ছে দখলদার দেশটি। স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব দেশে এভাবে ইসরায়েলি হামলা চালানোর পরেও কার্যত নিরব পশ্চিমারা। মুখে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও এরই মধ্যে ইসরায়েলকে ৭ বিলিয়নের অধিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা ও লেবাননে ইসরাইলের আগ্রাসনকে ‘অনৈতিক’ ও ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ আখ্যা দিলেন ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিস।

স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলজিয়াম থেকে ভ্যাটিকান সিটিতে ফেরার পথে হিজবুল্লাহর হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বৈরুতে ইসরায়েলের চালানো সাম্প্রতিক হামলা শহরের বাইরেও বড় এলাকা লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। হামলায় বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।

পোপ ফ্রান্সিস ইসরায়েলের নাম উল্লেখ করেননি। তবে তিনি সাধারণ ভাষায় বলছেন, ‘প্রতিরক্ষা সবসময় আক্রমণের সমানুপাতিক হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যখন অসামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু হয়, তখন নৈতিকতার ঊর্ধ্বে উঠে একটি প্রভাবের প্রবণতা ফুটে ওঠে। একটি দেশ যারা এই কাজগুলো করে - আমি যে কোনো দেশের কথা বলছি - এগুলো অনৈতিক কাজ।’

তিনি বলছিলেন, ‘যদিও যুদ্ধ অনৈতিক, তবে কিছু নিয়ম রয়েছে যা যুদ্দককে কিছুটা নৈতিকতার ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু যখন আপনি এটি করেন না (নৈতিকতার পথে)...আপনি অবৈধভাবে রক্তপাত দেখতে পাবেন।’

নাসরুল্লাহর মৃত্যু লেবানন এবং মধ্যপ্রাচ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিনি ৩  দশকেরও বেশি সময় ধরে একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও সামরিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

পোপ ফ্রান্সিস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলা এবং গাজা ও দক্ষিণ লেবাননের সংঘাত সম্পর্কে তার মন্তব্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। তিনি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, হামাসের হাতে অপহৃত জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

পোপ ফ্রান্সিস বলেন, তিনি প্রতিদিন গাজার ক্যাথলিক সম্প্রদায়কে ফোন করে খোঁজ নেন, তারা কেমন আছেন।

সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট, ব্রিটেন