গাজায় যুদ্ধবিরতি না হলে চাকরি ছাড়ার হুমকি ইসরায়েলি সেনাদের একাংশের

গাজা
  © ফাইল ছবি

গত ১ বছরের অধিক সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এদের মধ্যে অনেকেই যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে মানসিক ভারসম্যহীন হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এবার ইসরায়েলের বর্বরতা এবং ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলি সেনাদের একাংশ যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে সেনাবাহিনী ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন।

দেড় শতাধিক ইসরায়েলি সেনা এরই মধ্যে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হলে সেনাবাহিনীতে থাকা অসম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন। এ সংকটময় সময়ে ইসরায়েলি সেনাদের এই ধরনের প্রতিবাদ নজিরবিহীন।

আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় চলমান সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন সেনা, যারা মনে করেন এ যুদ্ধ কেবল পরিস্থিতি আরও খারাপ করছে। তারা অভিযোগ করেছেন, ইসরায়েলি বোমা হামলায় বহু নিরীহ মানুষ এবং জিম্মি প্রাণ হারাচ্ছেন, যা তাদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের বক্তব্যে স্পষ্ট, তারা এ যুদ্ধকে অবিলম্বে থামানোর দাবি জানিয়েছেন। তারা উল্লেখ করেন, ‘যুদ্ধের নামে গাজায় চলমান বর্বরতা কেবল আমাদের জিম্মিদের মুক্তির পথ রুদ্ধ করছে এবং আরও মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমরা আর এ ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়ার অংশ হতে পারব না।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা যুদ্ধের কৌশল পরিবর্তন এবং দ্রুত একটি চুক্তির মাধ্যমে জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি এবং সেনারা সতর্ক করেছেন, শিগগিরই তারা তাদের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন।

এদিকে এ ধরনের প্রতিবাদ ইসরায়েলের সামরিক ও রাজনৈতিক মহলে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছে। যারা যুদ্ধের পক্ষে, তাদের কাছেও এই সেনাদের প্রতিবাদ এক কঠিন বার্তা দিচ্ছে—যুদ্ধের নৃশংসতা আর সহ্য করা সম্ভব নয়।