বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে পশ্চিমবঙ্গে ও ভারতে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে: অমিত শাহ

অমিত শাহ
  © ফাইল ছবি

বিনা উস্কানিতে বাংলাদেশকে নিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্য ভারতীয় রাজনীতিবিদদের জন্য নতুন নয়। শেখ হাসিনা সরকারের আমলেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশিদের নিয়ে বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছেন বিজেপির নেতারা। এবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছে, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধ হলেই পশ্চিমবঙ্গে শান্তি ফিরবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের কারণে পশ্চিমবঙ্গে এবং ভারতে শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের শান্তি তখনই বিরাজ করবে যখন এই অনুপ্রবেশ পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। 

আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোলে নবনির্মিত যাত্রী টার্মিনাল ভবন এবং 'মৈত্রী দ্বার' নামে একটি কার্গো গেট উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। 

তিনি জানান, এই অঞ্চলে শান্তি স্থাপনে ল্যান্ডপোর্ট অর্থরিটি অফ ইন্ডিয়া' (এলপিএআই) বড় ভূমিকা নেবে। যখন সীমান্ত দিয়ে বৈধভাবে আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা না থাকে, তখন অবৈধভাবে মানুষ আসা-যাওয়া করে। আর যখন অবৈধভাবে মানুষের আসা-যাওয়ার রাস্তা খুলে যায়, সেটা পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা ভারতের শান্তি বিঘ্নিত করে।' 

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, আমি বাংলার মানুষকে বলে দিতে চাই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তন করে দিন, রাজ্য থেকে পুরোপুরি ভাবে অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেবো। তার অভিমত পশ্চিমবঙ্গে তখনই শান্তি বিরাজ করবে যখন এই অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে অংশীদারত্ব বাড়বে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত-নেপাল, ভারত-ভুটান, ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের পাড়ের এই দেশগুলোর সঙ্গে সংস্কৃতি, ভাষা আদান-প্রদান আরও বাড়বে। আর এর ফলে এক প্রকার নতুন অংশীদারত্বের সূচনা হবে। 

এদিন দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় অবস্থিত পেট্রাপোল স্থল বন্দরে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তিনি বলেন 'ল্যান্ড পোর্ট অর্থরিটি অফ ইন্ডিয়া' (এলপিএআই) সুঁচের মতো দেখতে একটা বিভাগ, কিন্তু এর গুরুত্ব অপরিসীম। এটা দেশের উন্নয়নে, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে, ভাষা সংস্কৃতি ও সাহিত্য আদান-প্রদানের মধ্যে দিয়ে কত বড় ভূমিকা রাখতে পারে তার উদাহরণ গত ১০ বছরে এই বিভাগের অগ্রগতি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এইভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে তার দৃষ্টিকোণ ও দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। ২০১৪ সালের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর মোদি প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন নতুন ক্ষেত্রের সূচনা করেছেন।

তার অভিমত 'এই ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি নরেন্দ্র মোদির চারটি 'পি' সূত্রের উপরে কাজ করে। এগুলো হলো- প্রসপারিটি, পিস, পার্টনারশিপ এবং প্রগ্রেস। 

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও বন্দর প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এলপিএআই) চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, বিএসএফ'এর ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী, কেন্দ্রের জয়েন্ট ডিরেক্টর পৌসুমী বসু প্রমুখ।