জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করল ইসরায়েল

ইসরায়েল
  © রয়টার্স

একের পর এক আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করছে ইসরায়েল। আর চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কার্যত কিছুই করছে না পশ্চিমা বিশ্ব। বরং ইসরায়েল যা করছে, প্রথমে তাতে আপত্তি জানালেও পরে ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডে সায় দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা। এবার জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক একটি সংস্থাকে নিষিদ্ধ করে গতকাল সোমবার একটি আইন পাস হয়েছে ইসরায়েলের সংসদ নেসেটে। ফলে ইসরায়েল ও ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে আর কার্যক্রম চালাতে পারবে না জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া আল জাজিরার প্রতিবেদনেও একই তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে ইসরায়েলের এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, ইসরায়েলের এ পদক্ষেপের ফলে গাজায় মানবিক সংকট আরও বাড়বে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা অভিযোগ করে বলেছেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় ইউএনআরডব্লিউএ-এর কিছু সদস্য অংশ নিয়েছিল। এ ছাড়া তাদের কয়েকজন হামাসসহ অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অংশ নিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’

ইসরায়েলে সংসদে ইউএনআরডব্লিউএ নিষিদ্ধের বিল পাস হওয়ার পার সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছে, নেসেটে যে ভোট হয়েছে, তা জাতিসংঘ সনদবিরোধী এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এটি ইউএনআরডব্লিউএর মর্যাদাহানি করার এবং এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মানবিক সংকট উত্তরণে সহায়তা ও সেবাদান প্রক্রিয়া ব্যহত করার চলমান প্রচেষ্টার সর্বশেষ পদক্ষেপ।

এদিকে গতকালও গাজায় নির্বিচার বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আরও ৯৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত এক বছরে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।