ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, বাংলাদেশে ট্রাম্পের ১০ সমর্থক গ্রেপ্তার

ট্রাম্প
  © সংগৃহীত

সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক প্ল্যাকার্ডসহ গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক বলে এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। এ ছাড়া ভারতের আরও কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অডিও ক্লিপে উৎসাহিত হয়ে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানানো বিপুলসংখ্যক প্ল্যাকার্ডসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (০৯ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ নিয়ে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা হচ্ছে উল্লেখ করে তার নিন্দা জানিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর কিছুদিন পরই তাঁর ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ডসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে সমর্থকদের। 

ইন্ডিয়া টুডে বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর জয় উদযাপন করতে চেয়েছিলেন সমর্থকেরা। ইন্ডিয়া টুডে দাবি করছে, ট্রাম্পের ওই সমর্থকেরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তারা সাধারণ জনতা। কিন্তু তাদের মিছিল করতে দেওয়া হয়নি।  

তবে ভারতীয় আরেক সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমস বলছে ভিন্ন কথা। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা আওয়ামী লীগের সমর্থক। আর পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাইরাল হওয়া কথিত অডিওক্লিপের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব সমর্থকেরা রাস্তায় নেমেছিলেন। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের মন্তব্যও যুক্ত করা হয় ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে।

মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে অডিওক্লিপে তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের দিয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ছবি ও আমেরিকার পতাকা ব্যবহার করে অবৈধ মিছিল-সমাবেশের মাধ্যমে সেই ছবি ও প্ল্যাকার্ডগুলো ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশ প্রদান করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেগুলো ভাঙচুর ও অবমাননার ফুটেজ সংগ্রহের নির্দেশনা দেন তিনি। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় বিষয়টি। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র আমেরিকার সুসম্পর্ক বিনষ্টের অপচেষ্টার অংশ হিসেবে তারা এই অপতৎপরতার পরিকল্পনা করেছেন।

উপ-কমিশনার আরও জানান, তাঁদের এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কিছু দুষ্কৃতকারী পোস্টার বানিয়ে অপকর্ম করতে চেয়েছে–এমন গোয়েন্দা তথ্যে শনিবার রাতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ উসকানিমূলক পোস্টার, ছবিসহ প্ল্যাকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী মহলের যেকোনো চক্রান্ত রুখে দেওয়ার জন্য তৎপর রয়েছে পুলিশের। এসব অপকর্মের উসকানিদাতা, অর্থ জোগানদাতা ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম আজতাক বাংলা বলছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী মার্কিন প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের সমর্থনে একটি আনন্দ মিছিল করার অভিযোগে শনিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। 

সংবাদমাধ্যমটি আরও বলছে, আওয়ামী লিগের সদস্য বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে বিজয় মিছিল করতে চেয়েছিলেন তাঁরা।