রাশিয়ার গভীরে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি পেল ইউক্রেন; বিশ্বযুদ্ধের শঙ্কা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ PM , আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ PM
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মেয়াদ শেষ হতে বাকি আছে আর মাত্র দুই মাস। তবে এর আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসলেন বাইডেন প্রশাসন। রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে হামলা চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রায় তিন বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চললেও এতদিন মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার গভীরে হামলা চালানোর অনুমতি দেননি বাইডেন। কিন্তু ক্ষমতার শেষ সময়ে এসে এই অনুমতি দিলেন তিনি।
মার্কিন দুই কর্মকর্তা ও একটি সূত্রের বরাতে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
সূত্রগুলো বলেছে, ইউক্রেন সামনের দিনগুলোতে দূরপাল্লার হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। তবে অভিযান-সংক্রান্ত নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে তারা এ হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। অন্যদিকে হোয়াইট হাউস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি গত কয়েক মাস ধরে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার সীমান্তের অনেক ভেতরে হামলা চালানোর অনুমতির জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
তবে বাইডেনের এই সিদ্ধান্তটি এমন সময়ে এল যখন যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছেন।
নিজেদের বাহিনীর সম্পূরক শক্তি হিসেবে সম্প্রতি যুদ্ধের ময়দানে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এটি নিয়ে ওয়াশিংটন ও কিয়েভ উভয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে নিজেদের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার গভীরে হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
সূত্রগুলো বলছে, রাশিয়ার ভূখণ্ডের গভীরে প্রথম হামলা সম্ভবত এটিএসিএমএস রকেট দিয়ে চালানো হবে। এসব রকেট ১৯০ মাইল (৩০৬ কিলোমিটার) দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
এদিকে বাইডেনের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে রাশিয়ার উচ্চকক্ষের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রথম উপ-প্রধান ভ্লাদিমির জাবারভ বলেছেন, ওয়াশিংটনের কিয়েভকে রাশিয়ার গভীরে হামলা চালাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত "তিন বিশ্বযুদ্ধের" দিকে নিয়ে যেতে পারে।
তবে ক্ষমতা নেওয়ার পর ট্রাম্প বাইডেনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। ইউক্রেনকে যে পরিমাণে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছিল, ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে সেটার সমালোচনা করে আসছিলেন। তিনি ক্ষমতা গ্রহণের পর দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তা কীভাবে করবেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি।