লেবাননে যুদ্ধবিরতিতে নীতিগতভাবে সম্মত ইসরায়েল

ইসরায়েল
  © টাইমস অব ইসরায়েল

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মতি জানিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু উচ্চ পর্যায়ের পরামর্শের পর এতে সম্মতি জানালো। নেতানিয়াহু গনগণের কাছে এই প্রস্তাব কীভাবে উপস্থাপন করবেন তা নিয়ে কাজ করছে বলে রবিবার একাধিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এমন সময় এই বৈঠকটি হয় যখন লেবানন থেকে ইসরায়েল শত শত রকেট ছোঁড়া হয়। অন্যদিক ইসরায়েলি বিমান বাহিনী বৈরুতে হিজবুল্লাহর সাইটগুলিতে বারবার হামলা চালাচ্ছিল।

জেরুজালেম, ওয়াশিংটন এবং বৈরুতের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম কান, ইয়েনেট এবং হারেৎজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বৈঠকে প্রস্তাবটির অনুমোদন চূড়ান্ত হয়নি। বেশ কয়েকটি বিষয় এখনও সমাধান করতে হবে। তবে জেরুজালেম মূল নীতিগুলিকে অনুমোদন করেছে। ইয়েনেট এর মতে, এ প্রস্তাবের কথা লেবাননকেও জানানো হয়েছিল।

হিজবুল্লাহ নেতা নাইম কাসেম গত সপ্তাহে বলেছিলেন, তারা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যালোচনা করেছে এবং একটি প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে। এখন পুরো বিষয়টি ইসরায়েলের হাতে।

হারেৎজ রিপোর্ট করেছেন যে প্রস্তাবে তিনটি পর্যায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, একটি যুদ্ধবিরতি এবং হিজবুল্লাহ তার বাহিনীকে লিটানি নদীর উত্তরে সরিয়ে দেবে; দ্বিতীয়ত, দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি প্রত্যাহার; এবং সর্বশেষ, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সীমান্ত এলাকার সীমানা নির্ধারণে ইসরায়েল-লেবানিজ আলোচনা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হবে। ইসরায়েল প্রত্যাশা করছে যে, হিজবুল্লাহ যদি যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে তবে ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে একটি চিঠি পাবে। লেবাননের সামরিক ও আন্তর্জাতিক বাহিনী এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেবে না।

সংবাদমাধ্যম কানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তিটি ইসরায়েলিদের কাছে কীভাবে উপস্থাপন করবে সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। তারা জাতিকে এটা বুঝাবে যে, চুক্তিটি ইসরায়েলের উপকারের জন্য করা হয়েছে। এই চুক্তিতে লেবানন এবং সিরিয়ার সীমান্তে ইসরায়েলের কার্যক্রম পরিচালনার স্বাধীনতার উপরও দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল