এবার আজমীর শরিফের নিচে মন্দির দাবি; খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল আদালত
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ AM , আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ AM
ভারতের মুসলিম স্থাপনাগুলো উগ্রবাদী হিন্দুদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এর আগে জ্ঞানবাপী মসজিদ হিন্দুদের মন্দির বলে দাবি করেছিল একদল হিন্দুত্ববাদী। এছাড়া তাজমহলের নিচে মন্দির রয়েছে বলেও প্রচার করেছে তারা। এজন্য তাজমহল ভেঙে নিচে কী আছে দেখার দাবি করেছে। এসব দাবি এখনও পুরনো হয়নি। এবার ভারতের বিখ্যাত আজমীর শরীফের নিচে মন্দির আছে এমন দাবি করে আদালতে পিটিশন দায়ের করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সেনা। গত সেপ্টেম্বরে এই পিটিশন দায়ের করার পর আজমীরের একটি আদালত দাবিটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে।
গতকাল বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিটিশন দায়ের করা ব্যক্তিরা দাবি করেছে সূফি সাধক মইনউদ্দিন চিশতির দরগা যা আজমীর শরীফ হিসেবে পরিচিত, সেখানে একটি শিব মন্দির রয়েছে। তারা আজমীর শরীফে আবারও পূজা করার অনুমতি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।
পিটিশনারদের আইনজীবী যোগেশ শিরোজা বলেছেন, দেওয়ানি বিচারক মনমোহন চান্দেল এ ব্যাপারে আজমীর দরগাহ কমিটি, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও ভারতীয় ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থার নয়াদিল্লি অফিসকে নোটিশ প্রদান করেছেন। তাদের সবাইকে নিজ নিজ জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মাত্র দুইদিন আগে উত্তরপ্রদেশের সামভালে মসজিদের নিচে মন্দির থাকার দাবি নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। সেখানে পুলিশ অন্তত তিন মুসলিমকে গুলি করে হত্যা করে।
আজমীর শরীফ নিয়ে পিটিশন দায়ের করা উগ্রপন্থি শিব সেনার প্রধান নেতা বিষ্ণু গুপ্ত বলেছেন, “আমাদের দাবি হলো আজমীর শরীফকে ‘সংকট মোচন মহাদেব’ মন্দির হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। যদি দরগার কোনো ধরনের রেজিস্ট্রেশন থাকে সেটি বাতিল করতে হবে। ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থাকে দিয়ে জরিপ করাতে হবে এবং হিন্দুদের সেখানে পূজা করার অধিকার দিতে হবে।”
আদালতে দায়ের করা পিটিশনে ১৯১১ সালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক হর্বিলাস সার্দার লেখা একটি বইয়ের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আজমীর শরীফের চারপাশে হিন্দু ধর্মের মৃৎশিল্প ও খোদাই রয়েছে।
ওই বইয়ে দাবি করা হয়েছিল শিব মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দিয়ে আজমীর শরীফ তৈরি করা হয়েছে। এবং দরগাটির সবচেয়ে পবিত্রতম জায়গায় এখনো একটি জৈন মন্দির রয়েছে।
তবে দরগাহ কমিটি এই দাবি অস্বীকার করেছে। তারা বলেছে, এখানে আফগানিস্তান থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়াসহ সব ধর্ম বর্ণের মানুষ আসেন। এখানে বহুতত্ববাদ প্রচার হয়।
সূত্র: এনডিটিভি