পতাকা ও সংখ্যালঘু ইস্যু
বাংলাদেশিদের চিকিৎসা না দেওয়ার ঘোষণা কলকাতার হাসপাতালের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ PM , আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ PM
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর থেকে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে সরব ভারত। দেশটির মেইনস্ট্রিম মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক অপপ্রচার, গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এর প্রভাব পড়েছে কূটনৈতিক মহলেও। এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর কলকাতার মানিকতলা এলাকার জেএন রায় হাসপাতাল বলেছে, তারা আর বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেবে না। বাংলাদেশে ভারতীয় পতাকার অবমাননা এবং দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কথিত অত্যাচারের প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জেএন রায় হাসপাতালের একাধিক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকনোমিক টাইমস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের জেএন রায় হাসপাতাল অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা করবে না বলে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
জেএন রায় হাসপাতালের কর্মকর্তা শুভ্রাংশু ভক্ত বলেন, ‘আমরা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি যে আজ থেকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত আমরা কোনো বাংলাদেশি রোগীকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করব না। ভারতের পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত অত্যাচারের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে কলকাতার অন্যান্য হাসপাতালগুলোকেও একই ধরনের পদক্ষেপ (বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসাসেবা বন্ধ) নেওয়ার আহ্বান জানান শুভ্রাংশু ভক্ত। তিনি বলেন, ‘পতাকার অপমান হচ্ছে দেখে আমরা বাংলাদেশিদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। তাপরও আমরা বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব প্রত্যক্ষ করছি। আমরা আশা করি অন্যন্য হাসপাতালও আমাদের সমর্থন করবে এবং একই ধরনের পদক্ষেপ নেবে।’
এর আগে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে বাংলাদেশি রোগী দেখা বন্ধ করেন প্রখ্যাত ভারতীয় স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীল সাহা। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননার একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘বুয়েটের প্রবেশপথে ভারতীয় জাতীয় পতাকা বিছিয়ে রাখা! চেম্বারে বাংলাদেশের রোগী দেখা আপাতত বন্ধ রাখছি। আগে দেশ, পরে রোজগার। আশা রাখব সম্পর্ক স্বাভাবিক না হওয়া অবধি অন্য চিকিৎসকরাও তাই করবেন।’