প্রশ্ন পশ্চিমবঙ্গের সংগীতশিল্পীর

ফেলানী যখন ঝুলছিলেন, তখন কীসের অবমাননা হচ্ছিল?

ফেলানী
  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বরাবরই সরব পশ্চিমবঙ্গের সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। বাংলাদেশের নানা ইস্যুতে ফেসবুকে লেখালেখি করেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের কবি, গীতিকার ও নির্মাতা শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কবিতা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই সুমন কারো নাম না নিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সীমান্তের কাঁটাতার-বেড়া থেকে ফেলানী যখন ঝুলছিলেন, কীসের কার অবমাননা হচ্ছিল তখন?’

কারো নাম না নিলেও অনেকেই মনে করছেন তিনি মূলত এটি লিখেছেন শ্রীজাতকে উদ্দেশ্য করেই। পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তা লিখেছেন অনেক অনুসারী।

সুমনের আরেকটি ফেসবুক পোস্ট আলোচনায় ছিল। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আকারে বড় দেশগুলো মনে করে তারা তাদের আকারে ছোট প্রতিবেশী দেশগুলোর মুরব্বি। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে সে কিউবা, হাইতির বড়দা। পুয়ের্তো রিকোকে তো বড়দা অঙ্গরাজ্য মনে করে। ভারত মনে করে সে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপালের বড়দা। ’

‘তোরা ধর্ম আর রাজনীতি নিয়ে ঝগড়া কাজিয়া করে মর। আমি প্রেম করছি, প্রেম করে যাব। ’ আরেক পোস্টে এমনটি লেখেন সুমন।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে গান লেখেন সুমন। গানটির কয়েকটি লাইন এমন, ‘মুক্তির এই আলো, বাংলাদেশ জ্বালালো, এ-লড়াই মুক্তির গান’। পরে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে গানটি গেয়ে শোনান তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটা সীমান্তের খিতাবেরকুঠি এলাকায় ০৭ জানুয়ারি ২০১১ সালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর সদস্যরা ফেলানী খাতুন (জন্ম:১৯৯৬ সাল) নামের এক বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করে। বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের জওয়ানদের এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। ফেলানীর লাশ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। বিএসএফ নিজস্ব আদালতে এ ঘটনার জন্য দায়ী সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বাবার সঙ্গে ফেলানী নয়াদিল্লিতে গৃহকর্মীর কাজ করত। বিয়ের উদ্দেশে তিনি দেশে ফিরছিলেন।